ভুমি,জরিপ অফিস গুলোর দুর্নীতি সীমাহিন আর গুচ্ছগ্রাম কোন কাজেই আসছে না,দখল হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি

0
304

মোঃ আফজাল হোসেন॥ ভুমি,জরিপ অফিসগুলোর দুর্নীতি সীমাহিন আর এসব অফিসের অসাধূ কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই একজনের জমি অন্যকে দেয়া হয় টাকার বিনিময়। শুধু তাই নয় গুচ্ছগ্রাম ও আবাসনের নামে হচ্ছে লুটপাট এবং সরকারি সম্পত্তি দখলে গড়ে তোলা হচ্ছে অট্রালিকা বলে অভিযোগ দেয়া হলে খোদ ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিবের কাছে।

আজ সকাল ১০টায় ভোলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক সভাপতিত্ব করেন। এসময় উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন,টাকা ছাড়া ভুমি ও জড়িপ অফিস গুলো কাজ করে না। অসহায় সাধারন মানুষদের হয়রানি করে। শুধু তাই নয়,টাকার বিনিময় একের জমি অন্যও নামে লিখে দিতে সময় লাগে না। ভোলায় এসব ভুমি সঙক্রান্ত সমস্যাগুলো বেশি।

সাধারন মানুষের কথা শুনতে গিয়ে একজন ইমাম চরম ক্ষোভ নিয়ে বলেন,আমরা ইদানিং দেকতে পাই কিচু অফিসের সামনে লেখা আমি ও আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত। অথচ ঐসব অফিস গুলোতেই দুর্নীতি বেশি হচ্ছে। গনগনের বান্দব অফিস সেটা এখন আর নেই। আমরা সেটা পাইনা। একটি প্লেকার্ড এর লেখা দেখিয়ে বলেন,ঘরেই সেবা পাব। অথচ ঘরেতো পরের কথা অফিসে গিয়েও নামজারি পাই না। ৫/৬মাস লাগে। যদি ঠিকমত জিনিস (টাকা) আসে তা হলে হয় না হলে হয় না বলে মন্তব্য করেন ঐ ইমাম।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ভোলা জেলা শাখার সাধারন মোবাশ্বিও উল্লাহ চৌধুরী বলেন,সরকারি সম্পত্তি দখলে করে বিশাল ভবন নির্মান করা হচ্ছে। ভুমিহিন হতে হয় না,টাকা হলেই জমি পাওয় যায়। ভোলার আ¯্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম এগুলো ভ’য়া। বেশির ভাগই প্রভাবশালী ঠিকাদার। তারা রাজনৈতিক নেতা। তারা ব্যক্তিগত স্বার্থে আ¯্রয়ন প্রকল্প করেন আর কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেন। এসব ঘর তাদের দরকার তারা পায় না না। আবার অনেকেই যাইতেও চায় না। এগুলো দরকার নেই। বেশির ভাগ খালি পড়ে আছে। যেখানে কোন মানুষ থাকে না। ঘুষের টাকা ছাড়া ভুশি অফিসের কোন কাজ হয় না। খাজনা-দাখিলা পাওয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, আপনি খোজ নিয়ে দেখেন শতকড়া ৯০জন তহসিলদার বড় বড় ভবনের মালিক।

এ্যসিল্যন্ড অফিস একজনে জমি অন্যায় ভাবে ১০জনকে দিয়েছে। এসব দিয়েছে কে বলে প্রশ্ন করেন,সচিব এর প্রতি। শহরের বাংলাস্কল পুকুর আছে। এটা খাশ জমি। অথচ প্রভাবশালিরা জেলা প্রশাসকের নাকের ডগায় বিশাল বিশাল ভবন নির্মান করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোথারেফ হোসেন বলেন,আমাদের লোকজনসহ (আওয়ামী লীগ) গ্রামের কিছু টাউটবাটপাররা জমি দখল করে খায়। তাই এসব খাশ জমি সরকার নিয়ে সুন্দর সচ্ছভাবে বন্দোবস্ত দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।

এদিকে ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার বলেন,জমি বন্দোবস্ত নয়,এটা অসহায়দের জন্য অভিশাপ হয়েছে। এসব না থাকলে শান্তিতে এসব মানুষগুলো জীবিনযাপন করতে পারতো। এসব জমির জন্য আদালত আর বিভিন্নস্থানে ঘুরে ঘুওে আজ অফিশাপে পরিনত হয়েছে। অথচ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার চাইলেই উভয়কে ডেকে তাগজপত্র দেখে জমি বুঝিয়ে দেন তা হলে সমস্যার সমাধান হয়। অথচ অফিসে গেলে কোন রেকর্ড পাওয়া যায় না। সরিয়ে ফেলো হচ্ছে। তা হলে কারা এসব রেকর্ড সরাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরী। অথচ এর সমাধান না করে আমরা এটাকে ঝুেিয় রাখছি বলে মন্তব্য করেন। শুধু তাই চরম দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন খোদ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু। তিনি বলেন,যে এলাকায় জড়িপ। ঐ এলাকার মানুষ হয় গরীব। শুধু তাই নয়,চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন,ভোলা সদর এ্যাসিল্যােন্ড অফিসের কর্মকান্ড নিয়ে। দুর্নীতির আখড়া বলেও মন্তব্য করেন।

এদিকে সব অভিযোগ সম্পর্কে ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মাকছুদুর রহমান পাঠোয়ারী বলেন,আমি সকলের কথা খুব সুন্দর ভাবে শুনেছি। সব বিষয়গুলো নোট নিয়েছি। এসব বিষয় স্থানীয় ভাবে কিছু সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছি। বাকীগুলো ঢাকাতে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে অসসব সমস্যা আর না থাকে।

LEAVE A REPLY