পটুয়াখালীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত

0
44

ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম ।। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ইশাদ হোসেন (২৫) ও রুম্মান (৩০) নামের দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দিপন তালুকদার নামের আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কেশবপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলে গতকাল রাত সোয়া ৯টার দিকে মৃত্যু হয় ইশাদ হোসেনের। এ ছাড়া রুম্মানকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার প্রস্তুতি নিলে রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেশবপুর কলেজের অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে দলীয় কোন্দল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুযুদ্ধ চলে আসছে। এতে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিরাট একটি অংশ সভাপতির সঙ্গে সভা-সমাবেশ করে আসছে। এ ঘটনার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর বাজারে একটি সভা ডাকেন সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু। ওই সভায় ডাকা হয়নি সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে।

এ ঘটনা নিয়ে ওই দিন দুপুরে মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থক রফিককে মারধর করে সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর সমর্থকরা। পরে রফিকের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে কলেজ ভাঙচুর করে। এ ছাড়া পিটিয়ে ও কুপিয়ে ১০ জনকে আহত করে। এ ঘটনায় সালাউদ্দিন পিকুর সমর্থক ইব্রাহিম বাদী হয়ে রফিকসহ প্রায় ২০ জনকে  দায়ী করে বাউফল থানায় একটি মামলা করেন।

এ মামলার জের ধরে গতকাল রোববার রাত সাড়ে  ৮টার দিকে কেশবপুর বাজারে মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থক রফিক ও  রাশেলের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল সালাউদ্দিন পিকুর সমর্থক ও যুবলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ও রুম্মানের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় এবং ইশাদ হোসেনকে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করলে চিকিৎসক ইশাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রুম্মানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার প্রস্তুতি নিলে মাঝপথেই তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেশবপুর কলেজের অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন পিকু বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা করায় সাবেক বিএনপি ক্যাডার ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের লোকজন বাজারে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে তাঁর সহোদরসহ দুজনকে হত্যা করেছে।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মামুন জানান, দুপক্ষের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY