পশ্চিম ইলিশায় পাওনা টাকা চাওয়ায় বিধবাকে মারধর ও জখম

স্টাফ বিপোর্টার
পাওনা টাকা চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোলার পশ্চিম ইলিশায় হতদরিদ্র বিধবা ও তার দুই সন্তানকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে । গত ৫ আগষ্ট( সোমবার ) বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চরপাতা গ্রামের মাঝি বাঢ়িতে এই ঘটনা ঘটে । ঘটনায় আহত বিবি হালিমা ও মাইনুদ্দিন কে ভোলা সদর হাসপাতালে র্ভতি করা হয় । অপর দিকে নুরউদ্দিন কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ভোলা জজ আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় সুত্রে যানা যায় , পশ্চিম ইলিশার ৩ নং ওয়ার্ডের চরপাতা গ্রামের মাঝি বাড়ির বাসিন্দা মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা বেগম (৪০) । প্রায় ১০-১২ বছর আগে হালিমার স্বামী রফিকুল ইসলাম মারা যায়।স্বামীর মৃতুর পর থেকে ২ সন্তানকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন-যাপন করছে বিধবা হালিমা খাতুন। পায় ২ সপ্তাহ আগে একই বাড়ির মৃত মতলব মাঝির ছেলে আবুল খায়েরের কাছে ৫০ টাকায় এক হালি হাসের ডিম ব্রিক্রি করে। ডিম ব্রিক্রির ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আবুল খায়ের পাওনা টাকা না দিলে হালিমার ছোট ছেলে নুরউদ্দিন(১৩) আবুল খায়েরের কাছ থেকে টাকা চাইতে যায়। আবুল খায়ের টাকা না দিয়ে উল্টে নুরউদ্দিন কে গালিগালাজ করে। নরউদ্দিন আবুল খায়েরের কথার প্রতিবাদ করলে আবুল খায়ের ক্ষিপ্ত হয়ে নুরউদ্দিন কে মারধর করে। বিষয়টি সমাধানের জন্য নুরউদ্দিনের বড় ভাই মাইনুদ্দিন(১৮) ও মা হালিমা বেগম সেখানে গেলে একই বাড়ির মৃত মোসলেহউদ্দিনের ছেলে সামসুদ্দিন (৫০),সালাহউদ্দিন, আবুল খায়ের , হেলাল উদ্দিন মোতাসিন ওরফে হেলা , পরিদা বেগম সহ কয়েকজন মিলে এলোপাথারি ভাবে মারধর করে। এসময় হালিমা আবুল খায়ের গংদের হাত থেকে বাচতে পানিতে ঝাপ দিলে পানিতে নেমে হালিমাকে গলা টিপে চুবিয়ে ধরা হয় এবং বেদম মারধর করা হয় । এতে হালিমার চোখের কোটা ফুলে যায় এবং রক্ত বের হয়। পরে স্থানীয় বিল্লাল মাস্টার , নুরুল ইসলাম মাণ , কামাল হোসেন সহ কয়েকজন মিলে হালিমাও মাইনুদ্দিন কে আবুল খায়ের গংদের হাত থেকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে । ঘটনায় ভোলা জজ আদালতে নারী শিশু র্নিযাতন মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে ।