ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :বাংলাদেশের বাজারে যেসব মাছ আসে সেসব মাছের মধ্যে সীসা বা লেড এবং ক্রোমিয়াম ও পারদ রয়েছে যেটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। মাছের বাজারে ইদানিংকালে বিদেশ থেকে আমদানি করা মাছ বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।মাছের মধ্যে ক্ষতিকর এসব রাসায়নিক থাকার কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না মাছ-বিক্রেতারাও ।ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মাছের বাজারে ওঠে নানা ধরণের মাছ, বিক্রেতারাও খদ্দের আকৃষ্ট করতে নানাধরনের প্রলোভন দেখান।প্রায় সব বিক্রেতার মুখেই শোনা গেল এগুলো নদীর মাছ, পুকুরের মাছ এবং অবশ্যই দেশি।কিন্তু কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে জানতে পারলাম এই বাজারে বিদেশি মাছও রয়েছে। একজন দোকানি তার দোকানে থাকা দুইটি বড় সাইজের বার্মিজ রুই দেখিয়ে বলছিলেন অনেক ক্রেতাই দেশি আর বিদেশি মাছের পার্থক্য বোঝে না।একজন বিক্রেতা বলছেন “মনে করেন দেশি মাছের দাম বেশি, বিদেশি মাছের দাম কম। বেশি দামে মাছ কিনতে চায় না তারা। আমাদেরও বেচার জন্য তখন বিদেশি মাছকে দেশি মাছ বলতে হয়।”বাংলাদেশ মূলত ওমান, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ভারত মিয়ানমার থেকে মাছ এবং মাছ-জাত পণ্য আমদানি করছে।রুই, বোয়াল মাছ যেমন আসছে, তেমনি ইলিশ মাছের মত দেখতে চন্দনা বা চান্দিনা নামের এক ধরণের মাছ আসছে যেটা আসলে ইলিশ না।অনেক ক্ষেত্রে পহেলা বৈশাখকে টার্গেট করে এই নকল ইলিশ মাছ বাংলাদেশের বাজারে আসে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।কিন্তু এসব মাছের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সরকারের একটি সংস্থা, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা মাহবুব কবির মিলন বলেছেন, এই মাছগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে এতে ক্ষতিকর যেসব রাসায়নিক রয়েছে যেটা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকির কারণ।”বাজারে যে মাছগুলো রয়েছে সেগুলোতে হেভি মেটাল পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো মারাত্মক। মৎস্য অধিদপ্তর থেকে যে লিমিট ঠিক করে দেয়া আছে সেটা হল ০.৩ ??। কিন্তু আমরা মাছ টেস্ট করে পেয়েছি চার,পাঁচ গুণ বেশি রাসয়নিক। এই জিনিসগুলো তো আমাদের শরীরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”