এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট

0
545

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট:মেডিকেল কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে তালিকা তৈরির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আগামীকাল সোমবার এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, প্রথম বর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) আহ্বান করে ২১ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর প্যারায় বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।

রিটে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মেধাতালিকা থকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিবাদী রাখা হয়েছে।

আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ওই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর প্যারায় বলা হয়েছে, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। ফলে আগের বছর পাস করা শিক্ষার্থীদের থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষানীতি পরিপন্থী। এ ছাড়া ওই সিদ্ধান্ত ২০১০ সালের বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইনের ৫ (৫) ধারার পরিপন্থী।

LEAVE A REPLY