চলতি মাসে দুটি মৃদু বা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মাসের দ্বিতীয়ার্ধে শীত কেটে গিয়ে ক্রমেই তাপমাত্রা বাড়ার ধারায় ফিরতে পারে। একইসঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড়েরও পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যদিও বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, পাবনা, দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পরিচালক আরও বলেন, এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুদিন শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড় হতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে দেশের সব প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ডিসেম্বর মাসের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে শতভাগ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিকভাবে দেশে গড়ে ২ দিন বৃষ্টি হওয়ার কথা এবং গড় বৃষ্টির পরিমাণ হওয়ার কথা ৯ মিলিমিটার। সেখানে কোনো বৃষ্টিই হয়নি।
জানুয়ারিতে দেশের সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল শ্রীমঙ্গলে, গত ২০ জানুয়ারি এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। একইসঙ্গে সারাদেশের তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল।