ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। জীবন বাজি রেখে প্রায় বড় ধরনের অপারেশন করেন তিনি তার ধারাবাহিকতায় এবার সবাই কে চমকে দিয়ে ঘটালেন এক অবিশ্বাস্য কান্ড ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আরমান হোসেন।মুসল্লী সেজে ধরলেন গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামিকে।এতে আসামিও অবাক।আসামি বললেন এমন পুলিশ আমি জীবনেও দেখিনাই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের রৌদ্রের হাট বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে।গ্রেফতার আসামি ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনসা গ্রামের তছির আহম্মেদের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আরমান হোসেন জানান,চলতি বছরের ১ মে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ভিক্টিম তার হবু স্বামীর (বর্তমানে বিবাহিত) সঙ্গে একটি অটোরিকশাযোগে রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
অটোরিকশাটি ওই ইউনিয়নের চর মনসা গ্রামে পৌঁছালে মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেন আরিয়ান তার ৫-৭ জন বন্ধু নিয়ে অটোরিকশাটি গতিরোধ করে। পরে রিকশা থেকে ভিক্টিমকে নামিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে হবু স্বামীর সামনে গণধর্ষণ করে তারা। রাত আড়াইটার দিকে ভিক্টিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে ওই পরিত্যক্ত ঘরে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা।
পরে রাতেই ভিক্টিমের হবু স্বামী ভিক্টিমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর ৮ মে রাতে ভোলা সদর মডেল থানায় ভিক্টিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেন আরিয়ানকে গত ২০ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার গোদনাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি আমজাদকে ভোলা কোর্টে প্রেরণ করা হলে আসামি ঘটনার পুরো বিষয়টির স্বীকারোক্তি দেয়। ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে আসামি আরও কয়েকজন পলাতক আসামির নাম জানায়। যারা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে মুসল্লী সেজে গ্রেফতার করা হয় উজ্জ্বলকে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।