পঁচাত্তরে আদালতের বিবেক কোথায় ছিল?

0
780

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।।  জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা-পরবর্তী সময়ে আদালতের বিবেক কোথায় ছিল— সে প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন তো দেখি কত রিট হয়, সুয়োমোটা অর্ডার হয়। কিন্তু যখন এত বড় অন্যায় হলো, ইনডেমনিটি দিয়ে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করা হলো— তখন আদালতের বিবেক কোথায় ছিল? উচ্চ আদালতের বিবেক কি তখন বন্দি ছিল? আর আমাদের দেশের এত বড় নামীদামী আইনজীবী থেকে শুরু করে এত বিবেকবানরা ছিলেন, একটু উনিশ-বিশ হলেই কত কথা বলেন। তখন তারা কোথায় ছিলেন? কেন তারা তখন প্রতিবাদ করেননি?

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে নেই যে, হত্যার বিচার করা যাবে না। কিন্তু আমাদের দেশে সে আইন হয়েছিল। আমরা (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) কি এই দেশের নাগরিক নই? আমরা যারা বাবা-মাসহ সবাইকে হারিয়েছি, তাদের হত্যার বিচার চাইতে পারব না? আজকে অনেকেই একটা হত্যাকাণ্ড হলেই বিচারের দাবিতে সোচ্চার হন। আমার কাছে আসেন। বিচার চান। তখন ভাবি আমিও তো সব হারিয়েছিলাম। কিন্তু তখন তো আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকারটুকুই কেড়ে নেয়া হয়েছিল। একুশ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি। খুনিদের বিচার শুরু করি। কিন্তু রায় কার্যকর করতে পারিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে সেই খুনিদের বিচার করেছি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে বেইমান ও মোনাফেক মোশতাকের ডান হাত ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মোশতাকই জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। কিন্তু বেইমানরা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। মীরজাফরও পারেনি, বেইমান মোশতাকও তিন মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। পঁচাত্তর-পরবর্তী ২১টি বছর ক্ষমতাসীন জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেনি, বরং খুনিদের পুরস্কৃত ও মদত দিয়েছে।

LEAVE A REPLY