চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কাশেমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (এসএসসি) ফরম পূরণে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকার নির্ধারিত ফি মানবিক নিয়মিত ১ হাজার ৫শত ৫ টাকা,অনিয়মিত ১ হাজার ৭শত ৯৫ টাকা, বিজ্ঞান নিয়মিত ১হাজার ৫শত ৯৫ টাকা, অনিয়মিত ১হাজার ৮শত ৮৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা নিয়মিত ১হাজার ৫শত ৫টাকা, অনিয়মিত ১হাজার ৭শত ৯৫টাকা এবং বার্ষীক ক্রিঢ়া মঞ্জুরি ফি প্রতিষ্ঠার প্রতি ৩০০টাকা।
অথচ বিদ্যালয়টি বিভিন্ন অজুহাতে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ ৩হাজার থেকে ৩হাজার ৫শত টাকা আদায় করছে। ফলে গরিব অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের পরীক্ষার ফি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
অভিভাবক শাহাজাদা জানান, তার মেয়ে কাসেমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার কাছ থেকে নাতনীর পরীক্ষার ফি বাবদ ৩হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
অভিভাবক নুরুজ্জামান দালাল বলেন,আমি গড়িব মানুষ তার নাতনী কাসেমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমার কাছ থেকে মেয়ের ফরম ফিলাফের জন্য ৩হাজার টাকা নিয়েছে। এ টাকা জোগার করতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
অভিভাবক রিপন বলেন, তার মেয়ে কাসেমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার কাছ থেকে মেয়ের ফরম পূরনে ৩হাজার টাকা নিয়েছে। এছারা ভুটেুা নামের আরেক অভিভাবক একই অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, গত ১ নভেম্বর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়। এ বছর বারিশাল বোর্ড ফরম পূরণে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের জন্য বোর্ড ফি নির্ধারণ ১ হাজার ৫শত ৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১ হাজার ৫শত ৯৫ টাকা। অন্যনা ফিসহ সর্বোচ্চ ১৭০০শত টাকা করা হয়েছে।
কাসেমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা ফরম পূরনে কোন অতিরিক্ত ফি নেই না।
চরফ্যাশন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, কোনো বিদ্যালয়েই সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে নেয়ার নিয়ম নেই। শিক্ষকদের বোর্ড ফির বাইরে কোনো অর্থ না নিতে বলা হয়েছে। এরপরও কোনো বিদ্যালয় অতিরিক্ত ফি নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মনোয়ার হোসেন বলেন, অভিভাবকরা কেন অতিরিক্ত টাকা দিল, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত ফি নেয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি কোন বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকে তাহলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বা উপজেলা নিবার্হী অফিসার অথবা জেলা প্রসাশক বরাবর লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।