রাকিব উদ্দিন অমি ।। ঝুকিপুর্ন বাঁধ মেরামত করছে বাঁধের পাশেরই মাটি কেটেই। এঘটনায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে এটা হচ্ছে বাঁধের কোরামিন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাসানুজ্জামানসহ ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১এর অন্যসব কর্মকর্তারা। তারা ভাঙ্গা বাঁধ মেরামতের জন্য বল্লি বসানো ও জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করাসহ সার্বিক কাজ তদারকি করছেন। আগের দিন মেঘনা থেকেই উঠানো বালু ফেলা হয়েছিলো ভাঙ্গা বাঁদের অপর পাশে,আজ ঐ বালু দিয়েই জিও ব্যাগ ভর্তি করছে শ্রমিকরা। মেঘনা নদীতে ভাটার সময় প্লাবিত গ্রাম থেকে পানি নামছিলো ভাঙ্গা স্থান দিয়ে। তবে পুর্ব প্রস্ততি হিসেবে বালু এবং বল্লি না থাকায় কাজের গতি ছিলো খুবই কম। নদী শান্ত ও বৃস্টি না হওয়ায় পরিবেশটা ভালো থাকলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তারা।
স্থানীয়দের দাবী হচ্ছে টেকসই বাঁধ নির্মান করার। তবে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তা কতটুকু টেকশই হবে তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। সামনে আবারো জো থাকায় আতংকটা যেন একটু বেশিই।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশায় যেখান দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে গ্রাম প্লাবিত করেছে,ঠিক তার পাশেই অপর একটি ঝুকিপুর্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের মেরামত করা হচ্ছে। তবে মেরামতের কাজ দেখে রিতিমত চোখ কপালে। যে বাঁধের মেরামত করা হচ্ছে ঐ বাঁধেরই পাশদিয়ে ভেকুদিয়ে মাটি কেটে ঐ মাটি বাঁধে ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি এমন যে বাঁধ কেটে বাঁধ নির্মান করা। যা দেখে স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসব বিষয় নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাসানুজ্জামান এর সাথে ঘটনাস্থলেই আলাপ করলে তিনি বলেন,এটা হচ্ছে বাঁধের কোরামিন দেয়া। মানুষকে যেমন কোরামিন দেয়া হয়,তেমনি এটাও হচ্ছে বাঁধের কোরামিন। যদিও এটা অন্যায়,তার পরেও কিছু করার নেই। এই মুহুর্তে মাটি পাওয়া যাবে না,তাই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে সুকনো সময় এলে বাঁধ টেকসই করে মেরামত করা হবে।