চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে রোগীর কাছ থেকে ভর্তি ও ছাড়পত্রে ৮শ’ টাকা আদায়ের অভিযোগ

0
659

বিশেষ প্রতিনিধি॥ চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে রোগী ভর্তির জন্য ২০০শ’ হাত ভাঙ্গা ব্যান্ডেজে ৪০০শ’ ছাড়পত্রে ২০০শ’ টাকাসহ মোট ৮০০শ’টাকা রোগীর কাছ থেকে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় দক্ষিণ আইচা থানা ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা আবু কালাম জরুরী বিভাগে হাত বেন্ডেজ করতে এসে জরুরী বিভাগের এসএসিএমও মো. রিয়াজ উদ্দিনকে এই টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। অবশেষে কালের কন্ঠ প্রতিনিধি জরুরী বিভাগের টাকা নেয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে হাসপাতাল টিএসও কাছে গেলে টিএসও তাৎক্ষনিক( ২৭ আগষ্ট রাত সাড়ে ৮টায়) উক্ত রোগীর উপস্থিতিতে জরুরী বিভাগের এসএসিএমও রিয়াজকে ডাকেন। রিয়াজ ঘটনার কথা শিকার করে বলেন,আমার ভূল হয়েছে আমি সব টাকা দিয়ে দিবো। আহত রোগী রির্টান টাকা পেয়ে সংবাদকর্মী এবং হাসপাতাল কতৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,সংবাদ কর্মীরা আছে বলেন দেশ এখনো ভাল আছে।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর-মানিকা ইউনিয়নের ৮নম্বার ওয়ার্ডে ট্রাক্টরে জমিচাষাবাদ নিয়ে গত সোমবার দুপুরে মো. জুলাহাস ও প্রতিপক্ষ ইয়াছিনের মধ্যে কথার কাটাকাটি একপর্যায় মারধরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গন্যমান্য শালিদার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি আবু কালাম ফয়সালার শেষ মুহুত্বে ইয়াছিনের পক্ষে ফোরকান এসে অর্তকিত হামলা চালায়। ঝগড়া ছাড়াতে গেলে ফোরকানের লাঠির আঘাতে শালিদার আবু কালাম(৪২),দুলহাস(২৭)ও হিরন(২২) গুরুত্বরে আহত হয়। এই সূত্রেপাতে দক্ষিণ আইচা বাজারে তৃতীয় দফা হামলা চালালে ফোরকান গ্রুপের ফোরকান(২৮), আল-আমিন(৩৫) ও ইয়াছিন(৩৩)আহত হয়। আহতদেরকে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
উক্ত ভর্তিকৃত আ’লীগ নেতা আবু কালাম জানান, আমি ২৬ আগষ্ট হাতে হামলার ঘটনায় কবজীতে ব্যর্থ পেয়েছি। তাই জরুরী বিভাগে চিকিৎসার জন্য গেলে জরুরী বিভাগের ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন স্যার হাসপাতালে ভর্তির নামে ২০০টাকা নেয় এবং বলে ২৭আগষ্ট বিকেল ৪টায় দেখা করবেন। এক্সে-রে শেষে রিয়াজ নরমালভাবে হাত ব্যান্ডেজ করে তার কাছ থেকে ৪০০টাকা আদায় করে বলেন,আপনি বাড়ি যাইতে হলে ছাড়পত্রের জন্য আরো ২০০টাকা লাগবে। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরতরা বহু কষ্ট করে কিন্তু এই রিয়াজের কারণে জরুরী বিভাগের পুরো বদনাম ছড়াচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন,হাত ব্যান্ডেজের সকল মালামাল হাসপাতালে আছে। জরুরী বিভাগে এসএসিএমও রিয়াজ ভর্তি, ব্যান্ডেজ এবং ছাড়পত্র দিতে যে টাকা নিয়েছে তা সে সম্পূর্ণ অন্যায় করেছে। রোগীকে টাকা পাইয়ে দিয়েছি। আর কোনদিন এধরনের অন্যায় কাজ করবে না তারা।

LEAVE A REPLY