ভেদুরিয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

0
190

ভোলা নিউজ ২৪ডটকম রিপোর্ট ॥ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলাভেন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযাগে উঠেছে।

বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) ওই কিশোরী ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। পরে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম সকল ঘটনা শুনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য তাকে সদর থানায় পাঠায়। অভিযুক্ত ফখরুল ইসলাম মামুন ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডেও রফিক হাওলাদার ছেলে।
ভিকটিম কিশোরী ও তার পরিবার জানায়, গত তিন মাস ধরে ফখরুল ইসলাম মামুনের সাথে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এরই মধ্যে মামুন কিশোরীকে বিয়ে আশ্বাস দিয়ে জোর করে কয়েকবার ধর্ষণ করে। গত দুই তিন দিন আগে কিশোরী মামুনের এলাকায় তার খালার বাসায় বেড়াতে আসে। এই সুযোগে মামুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেখা করার কথা বলে ওই বাসায় এসে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কিশোরীর খালা টের পেলে মামুন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়বুধবার সকালে কিশোরী বিয়ের দাবীতে মামুনের বাসায় গেলে মামুনের বোন ও পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বের করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা মামুনের পক্ষ নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের স্বরনাপন্ন হয়।

কিশোরী বলেন, মামুন আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো আর এর জন্য দায়ী থাকবে মামুন ও তার পরিবার।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি ফখরুল ইসলাম মামুন জানান, আমি ওই মেয়ের খালু আলাউদ্দিনের কাছ থেকে হাঁস পালনের জন্য একটি ঘর ভাড়া নিয়েছি। সেই সুবাদে ওই মেয়ের সাথে তার খালার মোবাইল দিয়ে কয়েকবার কথা হয়েছে। গত (বুধবার) রাতেও তার সাথে মোবাইলে কথা বলেছি এবং সে আমাকে তার খালার বাসায় যেতে বলেছে। আমার ঘরে শুয়ে শুয়ে তাকে যাবো বলেছি কিন্তু যাইনি। সে এ কথাগুলো রেকর্ড করে আমাকে ব্লাকমেইল করতে চাচ্ছে। মূলত তার সাথে আমার কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেও করার জন্য তারা এগুলো করছে।ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, আমরা মামলার জন্য ভিকটিমকে সদর থানায় পাঠিয়েছি।

এব্যাপারে বুধবার রাতে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভড না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY