চরফ্যাশন প্রতিনিধি।। চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুরের আবুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন জমি-জমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দির্ঘদিন ধরে বিবাধ চলছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিকে কেন্দ্র করে দির্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র ও হামলা মামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, আবুগঞ্জবাজারের মোতাছিন বিল্লাহর ছেলে মোছলেহ উদ্দিন চৌকিদারের সাথে একই এলাকার মাহে আলম গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে এক একর ৭৬শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ বিষয়ে মোছলেহ উদ্দিন গং সাংবাদিককে জানান, উল্লেখিত ওই এক একর ৭৬ শতাংশ জমি আমার বাপ,দাদার আমল (১৯৩৫সাল) থেকে বংশ পরম্পরায় ভোগদখল করে আসছি। আমি ২০০০সাল থেকে পরিবার নিয়ে আমার এই বসত বাড়িতে বাস করছি।
আমাদের এই জমিতে আমি নতুন ঘর উত্তলন করতে গেলে মাহে আলম চৌকিদার গং আমাকে বাঁধা দেয়। এবং উল্টো চরফ্যাশন আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। আদালত কাজ বন্ধ রাখার জন্য একটি অস্থায়ী নিষেজ্ঞা জারি করে। ওই নিষেধাজ্ঞা খারিজের পর আমি আবার কাজ শুরু করলে বিভিন্নরকম হুমকি ধামকি দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা মকদ্দমায় ফাসানোর চেষ্টা করে।
এবিষয়ে শাহে আলম চৌকিদার বলেন আমরা আমাদের কাগজপত্র অনুযায়ি এ জমি দাবি করছি।
মোছলেহ উদ্দিন গং অভিযোগ করে আরোও বলেন, গত ২৯ ফেব্রæয়ারী মো.হাসিব (১৫) নামের স্থানিয় এক কিশোরকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ওই মাহে আলম চৌকিদারের ছেলে বাবুল আমাকে ফাসানোর লক্ষে আমার বসত ঘরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হলে ছোট ভাই আল-আমিন ও খালাতো ভাই ইমনসহ অন্যান্যরা তাকে আটক করে স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গেও উপস্থিতিতে সড়ির তল্লাশি করে মানিব্যাগ থেকে ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা থানাপুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে বিষয়টি বাবুলের পরিবার অস্বিকার করলেও কিশোর হাসিবের বাবা ওয়ালিউল্লাহ এবং মা খাদিজা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে দিয়ে বাবুলরা মিলে এ ষড়যন্ত্র করিয়েছে বলে আমার ছেলে আমাদের জানিয়েছে।
অন্যদিকে মাহে আলম চৌকিদার গংরা দাবি করে বলেন, আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্যই প্রতিপক্ষ গ্রæপ ওই কিশোরের হাতে ইয়াবা দিয়ে মারধর করে আমাদের নাম স্বীকার করানোর চেষ্টা চালায়।
মোছলেহ উদ্দিন আরও বলেন, আমরা আওয়ামীলীগ পরিবার অথচ তারা বিএনপি জামাত করে এবং বহিরাগত ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করছে।
এদিকে মাহে আলম গ্রæপ ফয়সালার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব মহাদয়ের সরণাপন্ন হলে সংসদ সদস্য জমি সংক্রান্ত এ অভিযোগ ফয়সালার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মোর্শেদকে দায়িত্ব দেন।
মোছলেহ উদ্দিন আরোও জানান, এসএম মোর্শেদ বিষয়টি ফয়সালার জন্য গত শনিবার ২মে সালিশের সমন্বয়কারী সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ সবুজ, আসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরে আলম মাষ্টার ওই এলাকা পরিদর্শন করে ফয়সালার জন্য আগামী ৭মে তারিখ নির্ধারণ করে আবুগঞ্জ বাজারে আসে।
এসময় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিেিতই মাহে আলম গংরা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্বাস উদ্দিনসহ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর অতর্কিতভাবে লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালায়। এসময় ইমন,ফরিদ,আঃরহমান,আল আমিন,সাহাবুদ্দিন,শামিমসহ হানিফ চৌকিদার নামের স্থানিয় এক গ্রাম গ্রাম পুলিশ আহত হয়। আহত ওই গ্রাম পুলিশ হানিফ বলেন, বাজারে জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে হট্টগোল হলে আমি বাঁশি সুইসাল দিয়ে সকলকে সতর্ক করি করোনা ভাইরাসের মধ্যে কেউ যেন জ্যাম সৃষ্টি না করে। কিন্তু আমি ডাক দেওয়ার ফলে আমাকে আব্বাস,মাহে আলম, মাকসুদ,জসিম,মঞ্জু,ফরিদ,বাবুলসহ অন্যান্যরা মিলে বেধরক মারধর ও করে। আমি এ বিষয়ে চরফ্যাশন সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।