মিয়া মোহাম্মদ ইউনুসের সমর্থনে ভোলার সকল ইউনিয়ন থেকে আইন সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ

0
10

স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম॥
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) দায়ের করা মামলায় জাতীয় বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবী মিয়া মোহাম্মদ ইউনুসের পক্ষে ঢাকাস্থ ভোলা উপজেলা সমিতি, ভোলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার পক্ষে জনগণের উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইনি সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৩টি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ১জন এবং ভোলা পৌরসভা ও ঢাকাস্থ ভোলা সমিতির পক্ষ থেকে দুইজন মোট ১৫ জন আইনজীবী আগামী ১১ তারিখে মিয়া মোহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিশেষ আদালতে মামলা চলাকালীন উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। আগামীকাল সোমবার রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে এই শুনানী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
১১ জানুয়ারী শুনানির ধার্য দিনে জাতীয় বন্ধুজন পরিষদের প্রধান সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইউনুসের পক্ষে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য উপস্থিত থাকবেন ঢাকাস্থ ভোলা সদর উপজেলা সমিতির অনুরোধে ব্যারিস্টার কাজল, ভোলা পৌরবাসীদের পক্ষে ব্যারিস্টার খালিদ আদনান, পূর্ব ইলিশার ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী, ভেদুরিয়ার এডভোকেট মাহবুব আলম, ধনিয়ার এডভোকেট আতিকুর রহমান নয়ন, উত্তর দিঘলদীর এডভোকেট বাচ্চু মিয়া, পশ্চিম ইলিশার এডভোকেট  খায়ের উদ্দিন সিকদার, বাপ্তার এডভোকেট মনির হোসেন, চরসামাইয়ার এডভোকেট আলমগীর হোসেন, আলীনগরের এডভোকেট মাসুদ আলম, রাজাপুরের এডভোকেট জসিম উদ্দিন, শিবপুরের এডভোকেট পারভেজ, দক্ষিণ দিঘলদীর এডভোকেট জাবেদ জাহিদ, কাচিয়ার এডভোকেট আবুল কালাম, ভেলুমিয়ার এডভোকেট শহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, জামায়েত ইসলামীর নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল হক, মসজিদ কাউন্সিল ফর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, ইসলামি সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ কাউন্সিলের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল হক। আসামিদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাগারে আছেন। আবুল কালাম আজাদ এবং আবদুল হক পলাতক রয়েছেন। অপর তিন আসামি জামিনে আছেন।প্রকাশ সাবেক ধর্ম মন্ত্রী মরহুম মোশাররফ হোসেন শাহজাহানের নেতৃত্বে ভোলা সদর উপজেলা কে কুঁড়েঘর মুক্ত করার কার্যক্রমে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যাকাত বোর্ড ১০০০ ঘরের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা জাতীয় বন্ধুজন পরিষদকে দিয়েছিল। ওই সময় ১০০০ ঘর হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে তৈরি করে দিয়ে তার কাগজপত্র যথারীতি যাকাত বোর্ডের জেলা সভাপতি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জমা দেয়া হয়েছিল। কুঁড়েঘর মুক্ত ভোলা আন্দোলনে ভোলা সদরের মোট সাত হাজারের বেশি কুঁড়েঘরকে টিনের ঘরে পরিণত করা হয়েছিল। এ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল।
কুয়েত ভিত্তিক এনজিও, ইউএনডিপিসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে দান গ্রহণ করে এটাকার সংস্থান করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ইফার যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাত, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আইয়ুব আলী চৌধুরী ২০১০ সালের ২৪ মে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন।

LEAVE A REPLY