লালমোহনের মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাটটির বেহাল দশা

0
647

দুলাল পাটওয়ারী, লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর (মঙ্গলসিকদার) এর গুরুত্বপূর্ণ লঞ্চঘাটটির বর্তমানে বেহাল দশা। যাত্রীরা অনেক কষ্ট করে লঞ্চে উঠতে ও নামতে হয়। প্রতিনিয়ত লঞ্চে উঠতে যাত্রীরা আহত হচ্ছে। গতকাল ঢাকা যাবার নাজমুল নামের একযাত্রী ঘাট ব্রীজের তক্কা ভেঙ্গে নিচে পড়ে মারাতœক আহত হয়। ঘাট টার্মিনালে উঠার সমস্যার কারনে যাত্রীরা এখন এই ঘাট দিয়ে আসছে না। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় টার্মিনালের অবস্থা খুবই খারাপ। ঝড়ে/বন্যায় টার্মিনালের উপরের টিন নিয়ে গেছে। টার্মিনালে নেই যাত্রী বসার কোন ব্যবস্থা। টার্মিনালে উঠার সিড়িগুলোর ও বেহাল দশা। টার্মিনালে উঠার ব্রীজটি তৈরী হবার পর প্রায় দীর্ঘ ৫ বছর পর্যন্ত কোন মেরামত করা হয়নি। জোড়াতালি দিয়ে কোন মতে চলছে ব্রীজটি। গত মাসে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের ধাক্কায় টার্মিনালের একটি পিলার ভেঙ্গে পড়ে বিভিন্ন অংশের বাধন ছিড়ে যায়। টার্মিনালটি বর্তমানে ঝুকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় ঢুবে যেতে পারে। জানা যায় আগে প্রতিদিন এই ঘাটদিয়ে অনেক মাছ ঢাকায় চালান করা হতো। টার্মিনালের সমস্যার কারনে মাছ ব্যাপারীরা এই ঘাটে মাছ না দিয়ে ট্রাকে করে রোড দিয়ে মাছ ঢাকায় চালান করে। অনেক সময় ট্রলারে করে নদী দিয়ে লঞ্চে মাছ উঠায়। মাচ ব্যাপারী তাহের হকার জানান ধলীগৌরনগর লঞ্চঘাটের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। টার্মিনালে উঠার ব্রীজটি দীর্ঘদিন মেরামত করা হয়নি ব্রীজের কাঠগুলো পঁচে গেছে। প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীরা নষ্ট ব্রীজ দিয়ে যাতায়াতে বিভিন্ন দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। মাছের ঝুড়ি ব্রীজদিয়ে টার্মিনালে নেয়া যায় না। তাই আমরা ধলীগৌরনগর লঞ্চঘাট দিয়ে মাছ না দিয়ে ট্রাকে করে বা ট্রলারে নদী দিয়ে মাছ ঢাকায় পাঠাচ্ছি। ঘাট লেবার ফকরুল জানান আগে প্রতিদিন অনেক যাত্রী ও মালামাল এই ঘাট দিয়ে আসা যাওয়া করত। এখন কাঠের ব্রীজের সমস্যার কারনে যাত্রী অনেক কমে গেছে। তাছাড়া এখন মালামাল ও আসছে না। ঘাট ইজারাদার রফিক সওদাগর জানান যাত্রীদের সুবিধার্থে আমি বস্তায় বালি ভরে রাস্তাটি মেরামত করেছি। কাঠের ব্রীজটি প্রায় প্রতিদিনই মেরামত করছি আর ভেঙ্গে যাচ্ছে। কিন্তু টার্মিনালে উঠার সমস্যার কারনে এখন অনেক যাত্রী কমে গেছে। তিনি আরও বলেন বরিশাল বিআইডব্লিউ তে এ ব্যপারে নিয়মিত যোগাযোগ করছি, তারা গত চার মাস যাবত শুধু বলেছে শীঘ্রই রাস্তা ও ব্রীজটি মেরামত করা হবে। কবে যে মেরামত হবে তাহা বুঝা যাচ্ছে না।

LEAVE A REPLY