মুনিয়ার মৃত্যুর মামলা থেকে বসুন্ধরা এমডিকে অব্যাহতি

0
4

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত

পুলিশের ওই প্রতিবেদনে অনাস্থা (নারাজি) জানিয়ে মুনিয়ার বোন, মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া অন্য কেনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের যে আবেদন করেছিলেন, তা খারিজ করে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী বুধবার আনভীরকে অব্যাহতির এই আদেশ দেন।

বাদীর নারাজি আবেদন কেন খারিজ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা আদেশে দেওয়া হয়নি বলে জানান আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর।

বাদীর অন্যতম আইনজীবী ব্যরিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা উচ্চ আদালতে রিভিশন চাইব। এ রকম আদেশ আমরা আগেই জানতাম।”

আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৯ জুলাই আদালতে  ‘ফাইনাল রিপোর্ট’ দাখিল করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সে সময় বলেছিলেন, “মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে ওই প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে অন্য কেনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের আবেদন করেন বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া।

নথি পর্যালোচনা শেষে বিচারক বিষয়টি বুধবার আদেশের জন্য রেখেছিলেন। সেই আদেশ পুলিশ প্রতিবেদনের পক্ষেই গেল।

 

ঢাকার গুলশানের এই ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মোশারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সেই রাতেই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।

সেখানে বলা হয়, ‘বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মুনিয়ার সঙ্গে। ওই বাসায় তার যাতায়াত ছিল। কিন্তু বিয়ে না করে তিনি উল্টো ‘হুমকি’ দিয়েছিলেন মুনিয়াকে।

মুনিয়া ঢাকার মিরপুর ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লার মনোহরপুরে; পরিবার সেখানেই থাকেন। মৃত্যুর মাস দুয়েক আগে এক লাখ টাকায় ভাড়া নেওয়া ওই ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি।

মুনিয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত উদ্ধার করে পুলিশ, যার মধ্যে ছয়টি ডায়েরি ছিল। সিসিটিভির ভিডিও পরীক্ষা করে মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভীরের যাতায়াতের ‘প্রমাণ পাওয়ার’ কথাও সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।

অভিযোগের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কখনো কথা বলেননি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি। এপ্রিলের শেষ দিকে তার আগাম জামিনের জন্য হাই কোর্টে একটি আবেদন করা হলেও মহামারীর মধ্যে লকডাউনে সে আবেদনের শুনানি তখন আর হয়নি।

LEAVE A REPLY