রাব্বিদের নিউ ইয়র্কভিত্তিক একটি সংগঠনের আহ্বানে অন্তত ৩০০ রাব্বি এ সংক্রান্ত একটি আবেদনে সই করেছেন। ওই আবেদনে ইসরায়েলকে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। আবেদনে বলা হয়, ‘আমেরিকান নাগরিক ও ইহুদি হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলকে এমন কোনও বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দান বা অস্ত্র সরবরাহ মেনে নিতে পারি না, যারা একটি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নৃশংস জাতিগত নিধন চালাচ্ছে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছে। ইতালি ছাড়া ইইউভুক্ত বাকি দেশগুলো সামরিক প্রশিক্ষণ দান বন্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলেরও তা-ই করা উচিত।’
মিয়ামনারের কাছে ইসরায়েল অস্ত্র বিক্রি করেছে বলে সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশিত হলে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রাব্বিরা এ উদ্যোগ নেন। আগে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করলেও এ নিয়ে ইসরায়েলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সহিংসতায় নিজেদের সম্পৃক্ততার তথ্য দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল সরকার। দেশটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারে কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি পর্যালোচনা করছে ইসরায়েল।
খবর: ওয়াশিংটন পোস্ট ও টাইমস অব ইসরায়েল।