রাকিব উদ্দিন অমি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ।। ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদীর পানি বেড়েছে কয়েক ফুট উঁচুতে। এতে ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ঢালচর ,চরপাতিলা,কুকরী-মুকরী পানিবন্দি হয়ে গেছে কয়েক হাজার মানুষ।
আবহাওয়া কন্ট্রোলরুম সূত্র জানায়, ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের ৭০টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২১ হাজার ৬০ জন মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
এ দিকে নদীতে উত্তাল ঢেউ মেঘাছন্ন আকাশে বয়ে যাচ্ছে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া।আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
কয়েক দফা বৃষ্টিপাত হয়েছে সকাল থেকে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশনের চরপাতিলা ও ঢালচরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
জোয়ারে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এছাড়াও কুকরী-মুকরী বাঁধের বাইরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেশিরভাগ বিস্তীর্ণ জনপদ দুই ফুট পানির নিচে রয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর প্লাবিত হয়েছে। আমরা লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি যারা যায়নি তাদের মাইকিং করে যেতে বলছি। পাশাপাশি নৌ-পথে অনেক মানুষকে মূল ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
সহায়তার জন্য উপজেলাগুলোতে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ১৫০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসক । আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছেছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার। মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে মাইকিং চালাচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট।
এদিকে সকাল থেকে ভোলায় কয়েকদফা বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোন মুহূর্তে আঘাত হানতে পারে ফনী এতে উপকূলজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।