ভোলায় ফণীর আঘাত থেকে বাঁচতে হাজারো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

0
395

রাকিব উদ্দিন অমি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ।। ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে উপকূলের হাজারো মানুষ।

শুক্রুবার বিকেল থেকে উপকূলের নারী পুরুষ শিশু ছুটে আসছে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।ভোলা জেলার সাত উপজেলার ঘনবসতিপূর্ণ চরের প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক।

শুকনো খাবার দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক

তিনি বলেন,ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।সহায়তার জন্য উপজেলাগুলোতে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ১৫০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করেছি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছেছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার। মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। আটটি কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। উপকূলের মানুষদের এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কাজ চলছে।

ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নিরাপদ আশ্রয় পেতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো মানুষ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। আতংকিত এসব নারী শিশু আশ্রয়কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে অবস্থান করছে।

এদিকে ঘূর্নিঝড় ফণীর প্রভাবে সকাল থেকেই দ্বীপজেলায় থেমে থেমে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাস বইছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ভোলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. মাহাবুব রহমান জানান, ঘূর্নিঝড় ফনীর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কালো মেঘে ছেয়ে গেছে আকাশ।নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফনীর প্রভাবে নদী ও সাগর উত্তাল থাকায়, শুক্রবার সকাল থেকেই ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়ায় পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদীর পানি বেড়ে বিপদ সিমার কয়েক ফুট উঁচুতে উঠেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

LEAVE A REPLY