ফেরিতে না উঠতে দিলেও ঝুকি নিয়ে ট্রলার ও স্প্রিডবোডে পাড়ি মেঘনা : কঠোর প্রশাসন

0
11

মোঃ আফজাল হোসেন ॥ ঈদ পরবর্তি কঠোর লকডাউন শুরু হলেও ভোলা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের চলাচল বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন। ফেরি,ট্রলার ও স্প্রিডবোডে করে মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে এরা। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে হলেও বা তাদেরকে জানালে তারা নিরব ভুমিকা পালন করে অনেক সময়।

সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধি নিষেধের ২য় দিন আজ শনিবার। তবে সকাল থেকেই ঢাকা ও চট্রগ্রামমুখী ভোলার শত শত মানুষের ঢল নামে ইলিশা ফেরি ঘাটে। এসব মানুষেরা তাদের কর্মস্থলে ফিরতে মরিয়া। এরা ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষিপুর যাবার জন্য ফেরিত করে পারাপার করে। এছাড়া ট্রলার ও স্প্রিডবোডে পারাপার করে থাকে। গত কাল শুক্রবার গেলেও আজ শনিবার ফেরিতে করে পার হতে পাড়েনি। ভোলার জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজনীন ফাতেমা চৌধুরির নেতৃত্বে র‌্যাব,পুলিশ ও কোস্টগার্ড তা প্রতিরোধ করে। শত শত মানুষ নানান অজুহাত দেখালেও কোন লাভ হয়নি।

তবে ফেরিঘাটের আশপাশ দিয়ে গতকাল অন্তত ১০টি স্প্রিডবোড এবং ৫টি ট্রলারে করে এই নিন্মচাপের মধ্যেও উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কোস্টগার্ড কিঙবা পুলিশকে জানালেও কোন লাভ হচ্ছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ট্রলার ও স্পিডবোটে করে ভোলা-থেকে লক্ষ্মী পুরে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এসব বিষয় যাত্রীদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, তাদের যেতেই হবে। রাস্তায় মাইক্রো,মাহেন্দ্র,রিক্সা ও এ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছেন। লক্ষিপুর থেকে একই ভাবে যেতে হবে বলে চরফ্যাশনের যাত্রী মো কাইয়ুম ও তজুমদ্দিন থেকে আসা চট্রগ্রামমুখী আকরাম এসব কথা বলেন।

এদিকে এবিষয় বিআইডবি¬উটির ফেরির ঘাট ম্যানেজার মো পারভেজ খান বলেন, এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়,প্রশাসনের দেখার দ্বায়িত্ব। তার পরেও আমি খোজ নিয়ে দেখছি। কোস্টগার্ড এর উর্ধতন কর্মকর্তাদের ফোন দিলে তারা মুঠোফোন রিসিফ করেনি।

অপরদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক মো তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন,আমাদের মোবাইল টিম মাঝ মাঝে যাচ্ছে ইলিশাতে। তবে এটা বিআইডবি¬উটি’র দেখার বিষয় আমি তাদেরকে জানাচ্ছি।

LEAVE A REPLY