চরফ্যাশনে চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে নির্যাতন

0
311

সোহেব চৌধুরী,চরফ্যাশন প্রতিনিধি।।ভোলার চরফ্যাশনের আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে টাকা চুরির অপবাদে মিরাজ (১৭) এবং শামীম (১৭)নামের দুই কিশোরকে দোকান মালিক ইব্রাহিম হোসেনের নেতৃত্বে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দোকান মালিকের নির্যাতনে আহত দুই কিশোরকে ঘটনার পরদিন রবিবার সকালে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে অমানবিক এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও নির্যাতনকারীদের হুমকী আর আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ভিক্টিম পরিবার মামলা করতে পারেনি। আজ মঙ্গলবার স্বজনরা বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রুহুল আমিনকে জানালে তিনি হাসপাতালে গিয়ে তাদের শারিরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং এ ঘটনায় আইনী আশ্রয় নিলে তিনি সহায়তার আশ্বাস দেন। দুপুরে আহত শামিমের মা জান্নাতুল ফেরদাউস বাদী হয়ে নির্যাতনকারী চরফ্যাশন বাজারের শরিফ পাড়াস্থ সততা এস,এস মেটাল’র মালিক ইব্রাহিম হোসেনসহ ৩জনকে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার কোন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি । পুলিশ বলছে আসামী গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে।
চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই কিশোর এবং থানায় দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানাগেছে, মিরাজ এক বছর এবং শামীম দুই মাস যাবত ইব্রাহিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চরফ্যাশন বাজারের শরিফ পাড়াস্থ সততা এস,এস মেটাল’র কর্মচারী হিসেবে কাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোকানের ক্যাশের উপর চাবি রেখে ইব্রাহিম তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মার্কেট করতে যান। সেখান থেকে এসে দোকানের ২ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ৫০হাজার টাকা চুরির অভিযোগ তোলেন। শনিবার রাতে দোকান মালিক ইব্রাহিম বাসায় মুরগী রান্না হয়েছে বলে কিশোর দুই দোকান কর্মচারীকে তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্দ করে তার দোকানের ক্যাশ থেকে ৫০হাজার টাকা চুরির অপবাদে একে একে তাদের দুইজনকে এস,এস পাইপ দিয়ে অমানবিক মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। আহতদের মধ্যে শামীমের পিতা বেঁচে নেই।
দোকান মালিক ইব্রাহিম মোবাইল ফোনে জানান, দোকানে তারা ছিল টাকা কে নিবে? এজন্য তিনি তাদেরকে লাঠি দিয়ে মারধর করেছেন। এসএস পাইপ দিয়ে মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ ম,এনামুল হক জানান,এঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রুহুল আমিন বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছি। ঘটনাটি অমানবিক।

LEAVE A REPLY