ঈদুল আযহাকে ঘিরে ব্যাস্ত সময় পার করছে চরফ্যাশনের কামার শিল্পরা

0
285

সোহেব চৌধুরী,চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। চরফ্যাশন উপজেলার কামাররা আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার কেরামত গঞ্জ , শশিভূষন , আঞ্জুরহাট, দক্ষিন আইচা দুলারহাট ও চরফ্যাশন পৌর শহরের ১৬টি পয়েন্টে স্থানভেদে সপ্তাহের প্রতিটি হাটে কামারদের দা বটি ছেনি ছোঠ বড় ছুরি চাপাতি ও কুড়াল বিক্রির দোকান বসে। চরফ্যাশন পৌর সদর সংলগ্ন থানা রোডে শনি ও মঙ্গলবারের হাটে কামারেরা দা কাচি বিক্রি করেন।

এছাড়া প্রতিদিন শরিফপাড়া হাবিব ফরাজী মার্কেট কলেজ রোড হড়িবাড়ি মোড় জনতা রোডের লঞ্চঘাট মহিলা মাদ্রাশা রোডের মাথায় এবং ওয়াপদা অফিস সংলগ্ন স্থানে ছোট বড় সকল দোকানে নতুন দা বটি কুড়াল ও ছুরি তৈরিতে মহা ব্যাস্ত সময় পার করছেন কামারেরা। আবার অনেই দু’সপ্তাহ আগে থেকেই পুরাতন দা ছুরি সংস্কারের জন্য নিয়ে আসছেন এসব কামারদের কাছে ।

গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে দা ছুরির দোকানে ছুরি কেনার জন্য ক্রেতাদের আগ্রহ বেশ চোখে পরার মতো তবে ক্রেতারা বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে নি¤œমানের লোহা দিয়ে তৈরি হচ্ছে দা ছুরি এবং অধিক চড়া দামে বিক্রি করছেন কামারেরা। দোকানি কালু কর্মকার (৬৫) বলেন, দৈনিক ৮-৯ জন শ্রমিক খাটিয়ে বাজার মূল্যে বিক্রি করা খুব প্রতিযোগিতামূলক হয়ে দাড়িয়েছে। ঈদের কেনাবেঁচা এখোনোও শুরু হয়নি চাকুরিজীবিদের বেতন না ছুটতে ভালো বিক্রি বা জমজমাট হবেনা। সুদির কর্মকার বলেন, ২০ আইটেমের দা বটি ছুরি ও চাপাতি তৈরি করে বাজারে আনি ক্রেতাদের পছন্দের মাল বাজারে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে তবে বেচাঁকিনা একটু মন্দ ,যে দামে লোহা কিনি সে দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি কারন শ্রমিকদের সন্ধ্যা হলেই মজুরি দিতে হয়। লঞ্চঘাট এলাকার কামার সুখরঞ্জন বলেন অসুস্থ শরির নিয়ে আগের মতো প্রডাক্ট সেল করতে পারছিনা , লোহার দাম প্রচুর বেড়েছে কিন্তু বিক্রি বাড়েনি প্রতিটি বড় দা বটি ৬০০-৭০০ টাকা প্রতিটি বড় ছুরি ৩০০-৫৫০ টাকা , চাপাতি ছোট থেকে বড় ৪০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত কিন্ত প্রডাক্ট উৎপাদনের তুলনায় সিমিত বিক্রি হওয়ায় ব্যাবসাটা সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে প্রত্যাশা পুরোন হচ্ছেনা।

LEAVE A REPLY