ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলা-বরিশাল নৌপথে ছোট ছোট লঞ্চে রুটি বিক্রি করতেন আলাউদ্দিন। রুটি বিক্রি ছেড়ে যোগ দেন লঞ্চঘাটের শ্রমিকের কাজে। এ কাজও বেশিদিন করতে হয়নি আলাউদ্দিনকে। ঘাটের শ্রমিক হিসাবে কাজ করার ফাঁকে ছোট একটি স্পিডবোট কিনে ভোলা-বরিশাল নৌপথে যাত্রী পারাপার শুরু করেন। এ থেকেই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আলাউদ্দিনকে। ইতোমধ্যে বরিশালের লঞ্চগুলো ঘাট পরিবর্তন করে চলছে ভেদুরিয়া ঘাট পর্যন্ত। এ সুযোগটিই কাজে লাগান আলাউদ্দিন। নিজেকে স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি পরিচয় দিয়ে শুরু হয় আলাউদ্দিনের ইয়াবা ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এ ঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আসা বড় বড় ইয়াবার চালান নির্বিঘ্নে বরিশাল যেতে সহায়তা করতেন। একসময় তিনি ইয়াবাসেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
স্পিডবোট মালিক মোসলেউদ্দিন, ডালিম, সোহেল ও হেলাল বলেন, আলাউদ্দিন অল্পদিনে কোটি টাকার মালিক হওয়ায় ঘাটে কাউকেই পাত্তা দিতেন না। তার নিজের ইচ্ছামতো চলত ভেদুরিয়া ঘাট। মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন আলাউদ্দিন। কোনো মালিকের কথাই তিনি পাত্তা দিতেন না।
ঘাট সমিতির সম্পাদক ডালিম বলেন, আলাউদ্দিন কয়েক বছর ধরে স্পিডবোটের মাধ্যমে বরিশাল থেকে ভোলায় বিভিন্ন ধরনের মাদক আনা-নেওয়ার কাজ করছেন। তার ব্যবস্থাপক স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতার ছেলে হওয়ায় তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন বলেন, ঘাটের ইজারাদার নকিব চেয়ারম্যান। করোনাকালে সরকারের নির্দেশনায় স্পিডবোট বন্ধ রাখার পরেও তিনি মাইনুদ্দিন নামে একজনকে দিয়ে যাত্রী পারাপার করেছেন। আমার ওপর এর দায় দিলেও পরে প্রমাণিত হয়নি। এ নিয়ে বিরোধ হওয়ায় আমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এদিকে কয়েকদিন ধরে আলাউদ্দিন ও তার আত্মীয়ের ইয়াবাসেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ইয়াবা সেবনের বিষয়ে জানতে চাইলে আলাউদ্দিন বলেন, ভিডিওটি এডিট করা। এই ভিডিওটি অনেক আগের। আমার ভায়রা ভাইয়ের সঙ্গে যোগসাযোগে এ ভিডিও করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অচিরেই তদন্তসাপেক্ষে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র:যুগান্তর