ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত হানার আশঙ্কায় তা মোকাবিলায় ভোলায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেঘনা নদীর পাড়ে চলছে প্রচার-প্রচারণা। একই সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠছে মেঘনা নদী। নিরাপদ স্থানে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার নৌকাগুলো। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টারগুলো।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬টা নাগাদ বাংলাদেশের খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোয় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভোলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ছাড়াও জেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও অন্তত ১০ হাজার বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীকে। মজুদ রাখা হয়েছে শুকনো খাবার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী নৌযানগুলোকে।
এদিকে আজ দুপুর থেকে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী ও জেলেরা। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, মাছ ধরার নৌকা নিরাপদে তীরে আসতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের দেখা গেছে, মেঘনা নদীর পাড়ে ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় প্রচার চালাতে।