শুরুতেই আঘাত শফিউল-মুস্তাফিজের

0
316

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : বাংলাদেশের চেয়ে ১৭৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমলা-এলগার-মার্করামদের চোখে এখন বড় লিডের স্বপ্ন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো করেছে বাংলাদেশ। শুরুতেই প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করা ডিন এলগারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন শফিউল ইসলাম। এরপর মার্করামকে ফেরান মুস্তাফিজ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ উইকেটে ৪৬ রান করেছে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের লিডটা ২২২ রানের। হাশিম আমলা ১১ রানে ও টিম্বা বিভুমা ২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন শফিউল ইসলাম। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান এলগারকে। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি প্রোটিয়া ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৩০। এরপর দলীয় ৩৮ রানে মার্করামকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ রানের জবাবে ৩২০ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টাইগারদের চেয়ে ১৭৬  রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেছে প্রোটিয়ারা। তামিম-মুশফিকদের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখবে না এলগার-মার্করামরা। প্রথম ইনিংসের চেয়ে ভালো ব্যাটিং-বোলিং করতে না পারলে এই টেস্টে বাংলাদেশের হারটা মোটামুটি অবশ্যম্ভাবীই বলা যায়।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। এর জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি, ৩৬ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১২৭ রান। তারা উইকেট হারায় তিনটি।

তৃতীয় দিনের শুরুতে ভালোই খেলছিলেন তামিম ও মুমিনুল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন তাঁরা। ৪৬তম ওভারে অভিষিক্ত ফেলুকায়োর বলটা তামিমের ব্যাটে লেগে জমা হয় কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে। ৩৯ রান করেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। এরপর আবার প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬৯ রান যোগ করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারেননি মুমিনুল। কেশব মহারাজের বলে আউট হন তিনি।

এই ম্যাচে দারুণ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহও। সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু জুটিটা ভাঙেন অলিভেয়র। দলীয় ২৯২ রানে উইকেটের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া একটি বল টেনে আনতে গিয়ে বোল্ড হন সাব্বির। তখন তাঁর ঝুলিতে ছিল ৩০ রান। অল্প কিছুক্ষণ পর মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান মরকেলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। তার আগে ৬৬ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার তিন রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩২০ রানের বেশি করতে পারেননি সফরকারীরা।

LEAVE A REPLY