ভোলার ৪ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত ৩শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত

0
333

মো: আফজাল হোসেন,ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা থেকে ফিরে ।। ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত ২শতাধিক ঘর-বাড়ি,মসজিদসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে।

গতরাত ১০টায় হঠাত করেই কালবৈশাখী ঝড় আঘাত করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই জেলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ,পশ্চিম চর উমেদ ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। লন্ডভন্ড করে দিয়েছে গ্রামের ঘর-বাড়ি।

বিশাল আকারের গাছ আবার বিল্ডিংয়ের অর্ধেকটা উড়িয়ে নিয়েছে অনেক দুরে। ফেলেছে অন্য বাড়ির পুকুড়ের মধ্যে। এছাড়া গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘর। চরম দুর্ভোগের মধ্যে এসব গ্রামের মানুষেরা। খবর পেয়ে সকালেই ছুটে আসেন স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের খোজ-খবর নেন। এসময় তাদের টিন দেয়াসহ সার্বিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পাশে থেকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। একই সাথে এমপি তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রান সামগ্রী তুলে দেন।

অপরদিকে জেলার চরফ্যাশন উপজলার নুরাবাদ,নিলকমল,আবুবক্করপুর ও ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এসব ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। লন্ডভন্ড করে দিয়েছে গ্রামের ঘর-বাড়ি। ভেঙ্গে পরেছে গাছপালা। অসহায় এসব পরিবার সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

এদিকে মনপুরা উপজেলার ২নং হাজির হাট ইউনিয়ন ও চরকলাতলি এবং কাজির চরে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ডের মধ্যে ৬নং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চরকলাতলি ও কাজির চরের
বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান।

ক্ষতিগ্রস্ত  প্রত্যক পরিবারকে ২০কেজি করে চাউল,নগদ টাকা ও ঘর নির্মাণের জন্য কিছু ঢেউটিন দেওয়া হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ২নং হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দ্বীপক।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে তজুমদ্দিন উপজেলায়। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে।

LEAVE A REPLY