ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী, গিটারবাদক আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অসুস্থ অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে আনার পর মারা যান তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন আইয়ুব বাচ্চুর ঘনিষ্ঠজন ও এলআরবির সদস্য শামীম।
শামীম বলেন,বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থবোধ করছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় আনা হয় তাঁকে। এরপর চিকিৎকরা জানান তিনি আর নেই।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ঘটনায় ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট পরিবারও গভীর শোক জানিয়েছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ভোলা জেলার পক্ষে সভাপতি মো: আফজাল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শাহিনসহ পুরো পরিবার শোক প্রকাশ করেছেন।
এলআরবির সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রংপুরে কনসার্ট ছিল আইয়ুব বাচ্চুর। কনসার্ট শেষে গতকাল বুধবার দুপুরে বাড়ি ফেরেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এই সঙ্গীতশিল্পীর। অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানা যায়, তিনি কিছুদিন আগেও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন। আজ ‘হার্ট এটাকে’ তিনি সকাল ৯টা ৫৫মিনিটে মারা যান বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। ১৯৭৮ সালে তাঁর যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। আশির দশকে একাধিক একক অ্যালবাম বেরুলেও নব্বইয়ের দশকে ‘ডাবল এলবাম’ দিয়ে এলআরবির যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যান্ডটির নাম ছিল ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরে ব্যান্ডের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হকার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’,‘বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। সঙ্গীতজগতে তিনি এবি নামে পরিচিত হলেও তাঁর ডাকনাম ছিল রবিন। এ নামেও তিনি নব্বইয়ের দশকে একক এলবাম বের করেন
আইয়ুব বাচ্চু শুধু গায়ক ও বাদক হিসেবেই নয়, দেশের অনেক জনপ্রিয় গানের সুরও করেছেন তিনি।