প্রধানমন্ত্রীর নাম,ছবি,জয় বাংলা স্লোগান দোকানের সাইনবোর্ডে আওয়ামীলীগ নেতার জিডি

প্রধানমন্ত্রীর নাম,ছবি,জয় বাংলা স্লোগান দোকানের সাইনবোর্ডে আওয়ামীলীগ নেতার জিডি

0
88

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করে দোকানের নাম ‘শেখ হাসিনা স্টোর’ লেখায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন দোকান মালিক সাইফুর হোসেন সাজ্জাদ বেপারী।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাজ্জাদ বেপারীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কালাম আহমদ। জিডিতে তিনি সাজ্জাদ বেপারীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছেন।

তাঁতী লীগ নেতা কালাম আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম, ছবি ও জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান ব্যবহার করে এভাবে দোকানের সাইনবোর্ড টানানো গুরুতর অপরাধ। এজন্য আমি থানায় এ ব্যাপারে জিডি করেছি।’ আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই নাম-ছবি ব্যবহার করে সাইনবোর্ড টানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী সাজ্জাদ বেপারী।

তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই আমি তার অনুসারী। এই ভালোবাসা থেকেই নিজের দোকানের নাম প্রধানমন্ত্রীর নামে দিয়েছি। এর পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নেই।’

ঘটনার পর থেকেই ঝামেলায় পড়েছেন জানিয়ে সাজ্জাদ বেপারী বলেন, ‘অনেকেই আমাকে ভুল বুঝছেন। আমি আজকেও মাসুক ভাইয়ের (মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ) বাসায় গিয়ে তাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলেছি। পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়েও বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগরের লালদিঘীর পাড় নতুন মার্কেটের বি-ব্লকে চা-পাতার দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন সাইফুর হোসেন সাজ্জাদ। তিনি ওরিয়ন টি-কোম্পানি লিমিটেড ও মডার্ন ফুড লিমিটেডের ডিলার।

মঙ্গলবার হঠাৎ করে দোকানের দ্বিতীয় তলায় ‘শেখ হাসিনা স্টোর’ নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন সাজ্জাদ বেপারী। বিষয়টি নজরে এলে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে আপত্তি জানান। এনিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সাজ্জাদ বেপারীর কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই। তিনি তার অবৈধ ব্যবসা চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করেছেন। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাজ্জাদ বেপারী।

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুহিউদ্দিন বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলা হয়। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY