রাকিব উদ্দিন অমি:ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ভোলা জেলা সদর থেকে ১৭০ কিলোমিটার এবং চরফ্যাশন উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসগারের কূলঘেঁষে সাগরকন্যা কুকরি-মুকরি দ্বীপের অবস্থান। প্রায় ২০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ম্যানগ্রোভ বাগানসহ ৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কুকরি-মুকরি একটি ইউনিয়ন।ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দ্বীপকন্যা খ্যাত চর কুকরি-মুকরি ইকোপার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতি এ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর কুকরি-মুকরি সফর করেন এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দ্বীপটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন।জাতির জনকের স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সেই সুদূরপ্রসারী চিন্তার ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে কুকরি-মুকরি ইকোপার্ক।এই পার্কে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, হরিণ প্রজনন কেন্দ্র, ১০০ ফুট উচ্চতার ওয়াচ টাওয়ার, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড, ম্যানগ্রোভ বাগানের অভ্যন্তরে ওয়াক ওয়ে, বাগানের খাল আর সাগর কূলে নৌবিহারের জন্য আধুনিক নৌ-যানসহ পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য নানান আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
ইকোপার্ককে ঘিরে পাঁচ মেঘাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করা হবে। এই ইকোপার্ক প্রকল্পে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই পর্যটকদের জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফোর স্টার মানের আধুনিক রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। যে রেস্টহাউজে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, হেলিপ্যাড, টেনিস কোর্ট এবং সুইমিংপুল আছে।গতকাল বুধবার বিকালে কুকরি-মুকরি পৌঁছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই রেস্টহাউজে রাত যাপন করেছেন। পরে রাষ্ট্রপতি সেখানে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ এবং বৃক্ষরোপণ করেন।এসময় ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।