ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর জাতীয় মহাসড়কগুলোতে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের আওতাধীন সড়ক-মহাসড়ক বিভাগ। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় থাকা সড়কের পরিমাণ ২১ হাজার ৫৯৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ হাজার ৯০৬ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক।
এরমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-রংপুর—এই চার মহাসড়কে সরকার টোল আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজের এই টোলের টাকা ব্যবহৃত হবে। এই টাকা আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। সড়ক বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, শুরুতে দেশে চার লেনের মহাসড়কে টোল আদায় করা হবে। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে ছয় লেন ও আট লেনের মহাসড়কে টোল বসবে। মহাসড়কগুলোর কোন কোন জায়গায়, কয় ধাপে, কী পরিমাণ টোল আদায় করা হবে, সেসব বিষয়ের কাজ চূড়ান্ত করার পর মাঠ-পর্যায়ের কাজে হাত দিতে চান সংশ্লিষ্টরা। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চায় সড়ক বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আমরা কাজ শুরু করেছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ শুরু করেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, ‘এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আপাতত কোনও কমিটি করা হয়নি। প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আমাদের একটি টিম কাজ শুরু করছে। তারা একটি খসড়া প্ল্যান চূড়ান্ত করে দাখিল করার পর দেখা যাবে কমিটি করা লাগবে কিনা।’
মহাসড়কগুলোয় যানবাহনের জন্য টোল হার কেমন হবে—জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, সব কিছু চূড়ান্ত করার পরেই টোলের হার নির্ধারণ করা হবে।
জানতে চাইলে পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়কে টোল দিতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। এজন্য যাত্রীদের ভাড়াও বাড়বে না। তবে সড়কের মান বাড়াতে হবে। স্বাচ্ছন্দ্যে গাড়ি চলার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।’