চরফ্যাশন প্রতিনিধি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট॥
বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়া উপকূলীয় বনায়ন এবং ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষন করতে হবে। গতকাল পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কোস্ট ট্রাস্টের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন সক্ষমতা অজর্নে প্রয়োজন উপকূলীয় বনায়ন এবং ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষন ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন। কোস্ট সিজেআরএফ প্রকল্পের প্রোগ্রাম হেড আবুল হাসানের সঞ্চালনায় ভোলা জেলা জলবায়ু ফোরামের সভাপতি মোহাম্মাদ নুর ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু বক্তৃতা করেন । মূল প্রবন্ধের মাধ্যমে ইটের ভাটায় জ্বালানী হিসাবে কাঠের ব্যবহার, অনৈতিকভাবে গাছ কেটে বনভূমি উজাড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বনভূমি ধ্বংসে জন্য অন্যতম অন্তরায় হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। যেসকল চরাঞ্চলে বন কেটে জ্বালানী ও মাছচাষ করার জন্য ভূমি জবরদখল করছে সেক্ষত্রে অতিসত্বর বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া রাস্তা তৈরির জন্য যেসকল গাছ কাটা হয়েছে সওজের সহযোগীতায় বনবিভাগকে সে সকল রাস্তার পাশে গাছ লাগানোসহ ইটের ভাটার জন্য গাছ কেটে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার বন্ধের জন্য বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।” ২০ধারায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল যতক্ষন না পর্যন্ত বনবিভাগ ভূমি মন্ত্রনালয়কে হস্তান্তর করবে তার আগে কোন জমিই বন্দোবস্ত হতে পারবেনা। কিন্তু অনেক জমি হস্তান্তরের আগেই বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। তিনি ভোলার বনাঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সরকারী বিভাগকে সম্মিলিতভাবে সরকারী নীতিমালা ও বিধিবিধান মেনে কাজ করার জন্য আহ্বান করেন।
তাছাড়াও সেমিনারটির মধ্যদিয়ে উপকূলীয় বনায়ন ও ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষনের জন্য জন অংশগ্রহন বৃদ্ধি, বন খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম আরও জোরদার করা সহ বন আইন স¤পর্কে মানুষদেরকে অবহিতকরন ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য দাবী করা হয়।
ওই সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। সিজেআরএফ প্রকল্পের কো-অরডিনেটর, মনিটরিং এবং ইভালুয়েশন অফিসার ফারহা হাদীয়া, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাফিয়া খাতুন, বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া ,উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রেসক্লাবের সভাপতি, নাগরিক ফোরামের সদস্যসহগন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।