ভোলা-ঢাকা রুটে লঞ্চের রোটেশন বন্ধের নির্দেশ আদালতের

0
412

স্টাফ রিপোর্টার ।। ঢাকা-ভোলা রুটে লঞ্চের রোটেশন প্রথাকে অবৈধ ও নিয়ম বহিভূত উল্লেখ করে রুট পারমিট অনুযায়ী প্রতিদিন এক ঘাট থেকে ৪টি করে উভয় পাড় ঘাট থেকে ৮টি লঞ্চ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার ভোলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট মোঃ আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন । সচেতন যাত্রী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে গত প্রায় ৪ মাস আগে ব্যবসায়ী রুহুল আমিন কু্িট্ট ভোলা-ঢাকা রুটে রুটেশন প্রথা বন্ধের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য লঞ্চ মালিকদের রুটেশন প্রথা বন্ধের দাবীতে জেলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মানববন্ধনসহ আন্দোলন করে আসছিলো। সুশীল সমাজ সহ সাধারন যাত্রীরা এই রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য দাবী জানান।
মামলায় বাদি পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম মোর্শেদ কিরণ জানান, মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএ থেকে প্রতিদিন ৮টি লঞ্চকে চলাচলের জন্য রুট পারমিট দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রতিদিন ৪টি লঞ্চ ভোলা জেলা সদরের নদী বন্দর (খেয়াঘাট) টার্মিনাল থেকে ও অপর ৪টি লঞ্চ ঢাকা জেলার সদর ঘাট টার্মিনাল থেকে ছাড়ার নির্দেশ রয়েছে।
কিন্তু লঞ্চের মালিক পক্ষ এক জোট হয়ে অধীক লাভবান হওয়ার আশায় প্রতিদিন এক টার্মিনাল থেকে দুটি করে ৪টি লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করছেন। এতে প্রতিদিন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। লঞ্চের কেবিনের জন্য ৭ দিন আগে বুকিং দিতে হয়। জুরুরী প্রয়োজনে কেউ কেবিন ও সিট পাচ্ছে না। সাধারন যাত্রীরা লঞ্চ মালিক পক্ষের কাছে জিন্মি হয়ে পড়েন। এসব কথা বিবেচনা করে আদালত প্রথমে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। বাদীর আবেদন, তদন্ত প্রতিবেদন ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনানির পর আদালত রোটেশন প্রথা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি মোঃ নাসিম জানান, ঢাকা-ভোলা রুটে প্রতিদিন চলাচলের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে এ সব লঞ্চ হচ্ছে, বাদ্রার্স নেভিগেশন লিমিটেডের এমভি কর্ণফুলী-৪, এমভি কর্ণফুলী-৯, এমভি কর্নফুলী-১০, এমভি কর্ণফুলী-১১ , এ রহমান এন্ড সন্স কোম্পানীর এমভি ভোলা ও এমভি ক্রিষ্টাল ক্র্যুজ, খান ওয়াটার ওয়েব কোম্পানীর এমভি শ্রীনগর-৭ ।
এ ছাড়া রয়েছে এমভি বালিয়া । মালিক পক্ষ একজোট হয়ে ৪টি লঞ্চকে ঘাটে বসিয়ে রেখে মাত্র ৪টি দিয়ে উভয় পাড়ের যাত্রী পরিবহন করাচ্ছেন। এতে কৃত্রিম কেবিন ও সিট সংকট সৃস্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হলেও সঠিকভাবে যাত্রী সেবা দেয়া হতো না।
এদিকে আদালতের এ রায় ও আদেশের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ভোলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও চেতন যাত্রী নাগরিক পরিষদের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, এ রায়ে জনতার বিজয় হয়েছে। সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়ার বিজয় হয়েছে। তিনি এই রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান।

LEAVE A REPLY