তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ॥ ভোলার তজুমদ্দিনের বিচ্ছিন্ন চর মোজাম্মেল দখলে নিতে হেলাল মেম্বার ওরফে ডাকাত হেলাল বাহিনীর ক্যাডাররা অস্ত্রের মুখে চরের ৯ বাসিন্দাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬ টায় অপহৃতদের মৌলভীর চর নামক এলাকা হতে উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার ভোররাত ৪টার দিকে এ হামলা ও অপহরণের ঘটনা ঘটে।
চরের বাসিন্দা সালাউদ্দিন ও ইমাম হোসেন জানান, হেলাল মেম্বারের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি সশস্ত্র বাহিনী শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ট্রলার যোগে চরের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে আসে। সেখান থেকে মাইকে চর দখলে নেয়ার ঘোষনা দেয়। একপর্যায়ে তারা পাশ্ববর্তী শের-ই-বাংলা আবাসন প্রকল্পে হামলা চালিয়ে সেখানে অবস্থানরত জাফর মাঝি (৪০), নিরব (৩৮), সাহাবুদ্দিন (৩০), শরীফ (৩২) ও ফরিদকে (৩০) কুপিয়ে জখম করে। আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বাজারে নুরুল হক (২৮), আনোয়ার (৩৫), হোসেন (২৪) ও দুলাল (২৫) সহ কয়েকজন এগিয়ে আসে। হামলাকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি মারধোর ও কুপিয়ে আহত করে। এসময় হেলাল ও তার বাহিনী আহত ৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চরের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের শের-ই-বাংলা আবাসন প্রকল্পে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে আরো অন্তত ১৫ জনকে আহত করেছে। আহত মনির পাটওয়ারী, বেলায়েত মাঝি, হোসেন ডাক্তার, মিলন ও মনির কাজিনাম জানা গেছে। তারা বর্তমানে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে ওসি ফারুক আহম্মেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযানে থাকার কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।তবে এসআই আনোয়ার এবিষয়ে জানান, পুলিশ সকাল ৭ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপহৃতদের উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬ টায় অপহৃতদের মৌলভীর চর নামক এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা হলেন, জাফর মাঝী, নিরব, শরীফ, হোসেন, দুলাল, শাহাবুদ্দিন, আনোয়ার, নুরুল হক ও ফরিদ। এদের মধ্যে জাফর মাঝি ও শরীফ আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনির পাটওয়ারী জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে হেলাল মেম্বারসহ ৪০-৫০ জন অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় তাদের কয়েকজনকে বাসা ও দোন থেকে ডেকে এনে বাজারে এনে এলোপাতাড়ী মারধোর করে হাত পা বেঁধে রাখে। হোসেন ডাক্তার জানান, এসময় জাফর, শরীফ ও নিরবকে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় বাজারে নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষন পরই ৯-১০ কে চোখ বেঁধে নদীর ঘাটের দিকে নিয়ে গেলে অন্যান্যরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে চরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা আশংকা করছেন চরের মানুষ।