ভোলায় ক্লাব ভিত্তিক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও আইপিটি-শো

0
510

স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ভোলায় কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সসদ্যদের নিয়ে ক্লাব ভিত্তিক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও আইপিটিশো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯জানুয়ারি) দুপুরে ভোলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর স্কুলের মাঠে প্রায় চার শতাধিক কিশোর-কিশোরীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় । ইউনিসেফের সহযোগিতায় শিশু বিবাহ বন্ধে কমিউনিটি ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম (আইইসিএম) প্রকল্প এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে করে থাকে।

প্রতিযোগিতায় ৩ টি গ্রুপে ৬ টি ইভেন্টে বিভিন্ন ক্লাব থেকে আগত্ব কিশোর-কিশোরীরা অংশ নেয়। এতে ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতা, মোরগ লড়াই, মেয়েদের বালতিতে বল নিক্ষেপ, বালিশ খেলা,স্মৃতি শক্তি পরীক্ষা ও গান এর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিভিন্ন কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে ইন্টার একটিভ পপুলার থিয়েটার(আইপিটি) শো এর নাটক “আমরাই পাড়ি” পরিবেশন করা হয়। নাটকে ইভটিজিং এর কারনে সমাজে বাল্য বিয়ে কারন, এর কুফল, বাল্য বিয়ের ফলে শাস্তি,স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া কারন গুলো তুলে ধরা হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সাংবাদিক ও এডভোকেসি এন্ড মিডিয়া অফিসার আদিল হোসেন,সপ্নীল শিশু কিশোর সংগঠন এর সাধারন সম্পাদক তানজিল ইসলাম ডেভিট,আইপিটি ফেসিলেটর সঞ্জয় দে,ইউনিয়ন সম্মনয়কারী আনজুমানারা,মো: ইব্রাহীম, ওয়ার্ড প্রমোটর- ইয়াসমিন আক্তার শশী,ইসারুহুল্লা প্রমুখ।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা যমুনা ক্লাবের ফারজানা আক্তার,রুপা,সালামা বেগম সহ আরো অনেকেই জানান- ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্লাব বিত্তিক যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়েছে এতে আমরা অংশ নিতে পেরে খুব খুশী। এর মাধ্যমে আমরা এক ক্লাবের বন্ধুদের সাথে অন্য ক্লাবের বন্ধুদের পরিচয় হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ক্লাবে কে কি ধরনের কাজ করি তা নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পেরেছি। এছাড়াও নতুন নতুন বিষয় নতুন বন্ধুত্ব হয়েছে বলে জানান এই ক্লাবের সদস্যরা।
তারা আরো বলেন এখন আমরা আমাদের বাল্য বিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তোলার জন্য সবাই এক সাথে ঐক্য বদ্ধ ভাবে কাজ করতে পারবো। যেখানেই বল্য বিয়ে সেখানেই রুথে দিয়ে সমাজকে বাল্য বিয়ে মুক্ত করবো।

প্রতিযোগিতায় প্রথম বারের মতো নাটকে অংশ নেয়া নুপুর,নাইম,তানভীর সহ আরো অনেকেই জানান, প্রথম বারে মতো কোন নাটকে আমরা অভিনয় করা সুযোগ পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে। এন নাটকের মাধ্যমে আমরা এখন সমাজে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে ফুটিয়ে তুলবো। যাতে কেউ ভুল কলে মেয়েদের আঠারো বছর আগে বিয়ে না দেয়। এতে করে একদিকে মেয়েদের ক্ষতি হবে অন্যদিকে সমাজের ক্ষতি হয়। তারা বলেন এই ধরনের নাটকের অনুষ্ঠান যেন প্রতি ক্লাবে ক্লাবে করা হয়। তাতে একদিকে যেমন ক্লাবের কিশোর-কিশোরীরা নাট্যচর্চা করবে অন্যদিকে আমাদের অভিভাবকরা নাটক দেখে বাল্য বিয়ে সম্পর্কে সচেতন হবে বলে জানান।

LEAVE A REPLY