স্টাফ রিপোর্টার/ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেটII ভোলায় বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ভোলা জেলা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রবিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে বনার্ঢ্য একটি র্যালি বের হয়ে। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুব্রত কুমার সিকদারের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্ত্যব রাখেন জেলা প্রশাসক মো: সেলিম উদ্দিন। এসময় উপস্থিতত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, ডেপুটে কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মো: অহিদুর রহমান, নিবার্হী মেজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম প্রমুখ, মুক্তিযোদ্ধা মো: আনোয়ার হোসেন, সেলিম জমাদ্দার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডর এর আহবায়ক হামিদুর রহমান হাসিব,যুগ্ন-আহবায়ক তানজিলুর রহমান,কামরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আদিল হোসেন তপু, উপজেলা আহবায়ক মো: সোহাগ, সদস্য সচিব মো: শিপন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী। ওই ভবনের ২টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষ কে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি যেখানে শতশত মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়ে ছিলো। ভোলার দেওলা, বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সমুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পরে। ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন সময়ে ১০ ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা ল ঘাট থেকে ল যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে । মুক্তি যোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্্েরর কাছে ব্যর্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনী কে খবর দেয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী ল টি ডুবে যায়।
পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলা কে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করে মুক্তিযোদ্দারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়।