ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৪০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জনে।
একই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৩০৮ জনের।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩২৬ জন।
এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৬৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ২৯২টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ২৬৮টি।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৫টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও ১২ জন নারী সদস্য রয়েছেন। মৃত ২০ জনের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে পাঁচজন ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, মৃত ২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগের নয়জন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, বরিশাল বিভাগের একজন, সিলেট বিভাগের দুজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন। মৃত ২০ জনের মধ্যে ১৭ জন সরকারি হাসপাতালে ও তিনজন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন দুই হাজার ৬২৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৬৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ নয় হাজার ৪০২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৬০ হাজার ৩৪৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৯ হাজার ৫৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।