মো: আফজাল হোসেন।। ভোলায় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় দোকান,গাড়ী ও নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী রাত ৭টায় ভোলা শহরের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়েস্টার্নপাড়ায় কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রব এবং ওমর ফারুক এর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় একটি দোকান ও মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
অপরদিকে শহরের ৫নং ওয়ার্ডের কালীখোলা নামক স্থানে এফরানুর রহমান এবং মিজানুর রহমান সমর্থকদের মধ্যে মধ্যে সহিংতার ঘটনা ঘটে। এসময় একটি নির্বাচনী অফিস ও রিক্সা ভাংচুর করা হয়। উভয় ঘটনায় অন্তত ১০জন আহতহয়। খবর পেয়ে পুলিশ,কোস্ট গার্ড,ডিবি পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এবিষয় ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (উটপাখি) আব্দুর রব বলেন,প্রতিপক্ষ প্রার্থী ডালিম মার্কা ওমর ফারুক এর সন্ত্রাসীরা অতর্কিত ভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা তার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এঘটনায় তার অন্তত ৭জন আহত হয়েছে।
অপরদিকে ডালিম মার্কার প্রার্থী ওমর ফারুক পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,তাদের উপর হামলা এবং একটি মটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। মুলত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে এ হামলা চালায়। অথচ পুলিশ এসে তাদেরকতে উল্টো পিটাচ্ছে। এভাবে হলেনির্বাচন সুষ্ঠ কি ভাবে হবে।
এর আগে সন্ধ্যার পর পরই শহরের ৫নং ওয়ার্ডের কালিখোলা নাম্ক স্থানে ডালিম মার্কার প্রার্তী এফরানুর রহমান এবং উটপাখির মার্কার প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় উটপাখি মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় উভয় উভয়কে দায়ী করছে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ৩জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ,কোস্ট গার্ড গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেমে থেমে হামলা-পাল্টা হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সদর মডেল থানার ওসি মো: এনায়েত হোসেন বরেন,আমরা পুরো শহরে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি,কোস্টগার্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা রযেছে।