পেট কেটে বের করা হলো ৩১ প্যাকেট ইয়াবা

0
91

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।  রাজশাহীতে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর পেট কেটে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ছিল ৫০টি করে বড়ি। কক্সবাজার থেকে পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করে আনার সময় তিনি পাবনায় ধরা পড়েন। পেট থেকে ইয়াবা বের করার জন্য গত রোববার রাতে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আজ সোমবার দুপুরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের সময় তাঁর পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

এই মাদক ব্যবসায়ীর নাম আবদুস শুকুর (৩৭) তাঁর বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকায়। তাঁর বাবার নাম মোক্তার আহমেদ।

২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। তাঁর পেট থেকে বড়িগুলো উদ্ধার করার জন্য তাঁকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রোববার দিবাগত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে শুকুর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। মারা যাওয়ার পরে তাঁর ময়নাতদন্তের প্রয়োজন পড়ে।

ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। বাকি ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল। প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

মো. নওশাদ আলী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ

রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, রাজশাহীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে একজন চিকিৎসক তাঁর ময়নাতদন্ত করেন। এ সময় তাঁর পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, বড়িগুলো এখন আলামত হিসেবে পাবনা থানায় পাঠানো হবে। আর তাঁর লাশ পাবনা থানার উপপরিদর্শক সুব্রতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. নওশাদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তির পেট থেকে মোট ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। বাকি ১৫টি ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল। নওশাদ আলী বলেন, প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন যে, শুকুরের পেটে ইয়াবা আছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাঁদের কাছে নেই। তাই তাঁরা শুকুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।

জানতে চাইলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। পাবনার স্থানীয় তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাঁদের কাছে ১৫০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, এঁদের কাছে ইয়াবা আছে আরও অনেক বেশি। তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তাঁরা স্বীকার করেন যে ইয়াবা আছে শুকুরের পেটের ভেতর।

পুলিশ শুকুরকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন যে, শুকুরের পেটে ইয়াবা আছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাঁদের কাছে নেই। তাই তাঁরা শুকুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।

ওসি জানান, শুকুরের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা লাশ নেওয়ার জন্য আসছেন। তাঁরা এলেই লাশ হস্তান্তর করা হবে।

LEAVE A REPLY