বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোনো ধর্মের উৎসব আয়োজনে সরকার প্রতিবছরই সহযোগিতা করে থাকে। এবারও খ্রিস্টান ধর্মের বড়দিন উপলক্ষে সহযোগিতা করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষ তার নিজের সন্তানের জন্য সম্পদ দিয়ে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০৯ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। সেখানেও আমরা সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় উৎসব এলে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আমরা কল্যাণ তহবিল থেকে টাকা দিই। এবারও আমরা টাকা দিয়েছি।
কিন্তু সেটা কোনো সংগঠনের জন্য নয়। চার্চের মাধ্যমে সেই টাকা বিতরণ হয়। সবাই যেন অন্তত একটু মিষ্টি মুখ করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের তো সৌভাগ্য বাংলাদেশ কার্ডিনাল পেয়েছে। সেই জন্য আমি গর্ববোধ করি। এ জন্য পোপকেও আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি।
ভবিষ্যতে আমরা পোপের জন্য কনটেস্ট করতে পারব, সে সুযোগ আমাদের আছে। আমি আর কিছু বলতে চাই না। এ বিষয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সিদ্ধান্ত নেয়। আপনারা গণভবনে এসেছেন, গণভবনের মাটি ধন্য হয়েছে।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (সিএসবি) সভাপতি নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার। তারা প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মাধ্যমে সারাবিশ্বে থাকা এ ধর্মের মানুষের প্রতি বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।