ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে বললেন শেখ হাসিনা

ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে বললেন শেখ হাসিনা

0
333

ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর দৃশ্যত ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সংগঠনটির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

তবে দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা নাও আসতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

তারা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের প্রসঙ্গ উঠলে কমিটি ভেঙে দিতে বলেন শেখ হাসিনা। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভীষণ ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর।

ওই নেতারা আরও জানান, শেখ হাসিনা বলেছেন– ‘আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।’

তারা জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও দেখা দেননি তিনি। উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তখন দুজনকে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সামনে পেয়ে সবার সামনেই ‘বকাঝকা’ করেন। তিনি বলেন, ‘চলে যাও এখান থেকে।’ পরে ছাত্রলীগের দুই নেতাই বেরিয়ে যান।

বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, শেখ হাসিনা বৈঠক শেষে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানের সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে ১০ মিনিট কথা বলেন।

গত বছর ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সেদিন রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের নাম ঘোষণা করেন। একই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগরীর দুটি ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।

তারপর দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার কথা থাকলেও প্রায় ১০ মাস পর ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই বছর মেয়াদি নতুন এই কমিটি ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে অসন্তোষ জানান পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা। পরে বিক্ষোভও করেন তারা।

একই সময়ে আনন্দ মিছিল করেন নতুন নেতা ও তাদের সমর্থকরা। এ নিয়ে তখন ক্যাম্পাসে উত্তেজনা, এমনকি সংঘাতও সৃষ্টি হয়।

 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY