ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার মাধ্যমে ‘ধারাবাহিকতার ঐতিহ্য’ সৃষ্টির প্রত্যাশার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কোনোভাবেই ‘ভিন্ন খাতে’ প্রবাহিত হতে দেওয়া যাবে না।
“এবার একটি পূর্ণাঙ্গ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ধারাবাহিকতার ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। এই জন্য নির্বাচনকে আমরা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে দিতে পারি না।”
সেই লক্ষ্য পূরণে নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, “নির্বাচন সম্পর্কে জনমনে আস্থার ক্ষেত্র তৈরি করবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী যেন আপনাদের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে।”
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা ‘অতি সামান্য’। তারা শুধু চান, ভোটের দিন যেন কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। তাদের এই সামান্য চাওয়াই রাজনৈতিক বাস্তবতায় ‘বিশাল কর্মযজ্ঞে’ রূপান্তরিত হয়েছে ভোটের মাঠে।
সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১২ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছেন জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ভোটকেন্দ্রের সকল অনিময় রোধ, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা আপনাদের দেওয়া হয়েছে। এই সর্বোচ্চ শক্তি আপনাদের কতটুকু, তা আপনাদের প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে জেনে নেবেন।”
নির্বাচন কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, আপনাদের সর্বোচ্চ শক্তি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।সুতরাং আপনাদের দায়িত্ব পালনে শিথিলতা কখনো বরদাশত করা হবে না। যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ সমরে সাফল্যের কোনো বিকল্প নেই।”
আর এই সাফল্যের জন্য নিরপেক্ষ থেকে আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
“একটা কথা মনে রাখতে হবে, আইন যদি নিজস্ব গতিতে না চলে, তাহলে কোনো কার্যক্রম আইনানুগ হতে পারে না। সবার জন্য সমভাবে আইন প্রয়োগ না করলে তা আইন নয়, আইনের অপলাপ মাত্র।”
আইনসিদ্ধ না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে আমরা নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না। আমি জানি, আপনাদের কেউ কলঙ্কের ভাগিদার হতে চাইবেন না।”
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসে এক সোনালী অধ্যায়ের রচনা করবে- এমন আশা প্রকাশ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, “সোনালী অধ্যায়ের রূপকার আপনারা। জাতির ক্রান্তিলগ্নে মহান দায়িত্ব লাভ করেছেন। আপনাদের অবদান জাতির ইতিহাসে গৌরবগাঁথা হয়ে থাকবে। উত্তরাধিকার গৌরবগাঁথায় উদ্দীপ্ত হবে, অনুপ্রাণিত হবে।”
নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশের ২ হাজার ২৬ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে কয়েক ধাপে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এর অংশ হিসেবে সোম ও মঙ্গলবার নয় জেলার মোট ৪০৮ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
            
		













