৫০ বছর পর ম্যারিও সুইজারল্যান্ড থেকে ভোলায়

0
240

ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর মা বাবার ভালোবাসার টানে ম্যারিও সিমো ভ্যামৌ সুইজারল্যান্ড থেকে ভোলায় ফিরেছেন।

বাবা মো. ইউসুফের মৃত্যুর পর ১৯৭৩ সালে মায়ের সঙ্গে ভোলা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান কুলসুম।কষ্টের সংসার আর কে জানতো এই কষ্টই তার ভাগ্য বদলে দিবে। ঢাকা যেয়ে মোহাম্মদপুরের কাঠপট্টিতে একটি ছোট্ট ঘরে সাত সন্তান নিয়ে থাকা শুরু করেন মা মাফিয়া বেগম।

চার বোন ও দুই ভাই নেই বাবা সংসারের অভাবের কারণে কিছুদিন পর কুলসুম ও তার ছোট বোন সুমির আশ্রয় হয় একটি এতিমখানায়। তখন কুলসুমের বয়স পাঁচ বছর। সুমির বয়স তিন বছর। পরে এতিমখানা থেকে দুই বোনকে দত্তক নেয় এক সুইস দম্পতি।

দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বুধবার (২০ এপ্রিল) কুলসুম (বর্তমান নাম ম্যারিও সিমো ভ্যামৌ) সুইজারল্যান্ড থেকে ভোলায় ফিরেছেন।

তার বাবার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চটিয়া গ্রামের মনু ফকির বাড়ি।

কুলসুমের গ্রামের বাড়ি ফিরে আসার খবরে গ্রামজুড়ে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। কুলসুম ও তার স্বামী সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা আন্দে সিমন ভারমুটকে গ্রামের বাড়ির পরিবারের সদস্যরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। তারা আসবেন বলে বাড়ি সাজানো হয়।

তবে মায়ের সঙ্গে গ্রামে ফিরতে পারেননি কুলসুম। তার মা মাফিয়া বেগমের বর্তমান বয়স ৮৫ বছর এবং তিনি অসুস্থ। তিনি ঢাকায় রয়েছেন। মায়ের অসুস্থতার কারণে স্বামী নিয়েই গ্রামের বাড়িতে আসেন কুলসুম।

কুলসুমের ছোট চাচা আব্দুল রব বলের, ‘দীর্ঘ ৪৫ বছর পর আমার ভাতিজিকে দেখতে পেয়েছি। সে আমাকে প্রথমে চিনতে পারেনি। পরে চিনতে পেরেছে। সে ফিরে আসায় আমরা খুবই খুশি হয়েছি।’

jagonews24

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে বাড়িতে ঢুকেই বাবার কবর জিয়ারত করে কুলসুম। এরপর সবার সঙ্গে একে একে দেখা করে। আমরা তার ভাষা বুঝতে পারি না। কিন্তু ঢাকার সাংবাদিক মনজুরুল করিম ভাই তার কথা আমাদের বুঝিয়ে দেন।’

সকাল ৮টার দিকে স্বামীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন কুলসুম। পরে দুপুর ১টার দিকে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

কুলসুমের গ্রামের বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে তাকে এক নজর দেখতে আসে গ্রামবাসী।

 

LEAVE A REPLY