ভোলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটনেট।। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এখন লোকে বলে ধানের শীষ পেটের বিষ। এটা আমার কথা না। কালকেও গাড়ি দিয়ে যাচ্ছিলাম, একজন তো বলেই ফেলল পেটের বিষ নয়, ধানের শীষ সাপের বিষ। এই বিষ কী কেউ খাবে? এই বিষ বাংলার মানুষ আর পান করবে না।’
রাজধানীর গাবতলীতে আওয়ামী লীগের সপ্তাহব্যাপী নির্বাচনী গণসংযোগের আজ শুক্রবার পঞ্চম দিনে দলের প্রচারে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ২০১৪ সাল না, ২০১৮ সাল। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে কোনো নাশকতা করলে তার সমুচিত জবাব দেবে বাংলাদেশের জনগণ। তিনি বলেন, বিএনপি সোজা পথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। বিএনপি বুঝে ফেলেছে সোজা পথে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জনগণ তাদের চায় না।
বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই রাজনীতি করেছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ উপযুক্ত জায়গা, আদালতও সেটি বলেছে। তাহলে সরকারের ভুল কোথায়? খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সরকার রাজনীতি করেনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি।
বাম দলের সঙ্গে ঐক্যের বিষয়ে আজও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো জোটকে নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে ঐক্য করতে বলিনি। আমি বলেছি, বামপন্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে। জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা করে। বামপন্থীদের ভেতরে কেন এত ভাঙনের সুর? আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। তাদের আমাদের সঙ্গে ঐক্য করতে আমি বলিনি। আমরা ঐক্য চেয়েছি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে, আমরা ঐক্য চেয়েছি নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে, আমরা জাতীয় ঐক্য চেয়েছি স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে।’
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে মন্ত্রী কাদের বলেন, ইভিএম সীমিত পরিসরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হোক এটা আওয়ামী লীগ চায়। নির্বাচন কমিশনের কাছে সে দাবি জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যেন জালিয়াতি না হয়, কারচুপি না হয়, কেউ যেন বাক্সভর্তি না করতে পারে, জাল ভোট যেন কেউ না দিতে পারে, সে জন্যই ইভিএম। আধুনিক বিশ্বের একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার অনুষঙ্গ ইভিএম।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন বিলটি দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পাঠাতে পারে, তাহলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন বিলটি সংসদের আগামী অধিবেশনে পাস হবে। শেষ অধিবেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসবে। তবে অধিবেশন খুবই সংক্ষিপ্ত। শেষ অধিবেশন এক সপ্তাহের মতো হতে পারে। এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকবে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন যদি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন প্রস্তুত করে সংসদে পাঠায়, তাহলে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।