লালমোহনে ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় জোড়পূর্বক ঘর নির্মান

0
494

লালমোহন প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেঘনা সিনেমা হলের সামনে ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় জোড়পূর্বক জমি দখল করে ঘর নির্মান করছে জয়নাল আবেদীন ওরপে জনু মাস্টার। সরোজমিন তদন্তে জানা যায় ধলীগৌরনগর মৌজার জেএল ৪৪ এসএ খতিয়ান ৪৪ দাগ নং ৮২৬ এ নাদেরুজ্জামান মাস্টার ভোলা আদালতের মাধ্যমে ১১ শতাংশ জমি তার নামে রায় পায়। এই জমি নিয়ে নাদেরুজ্জামান মাস্টার এর সাথে জনু মাস্টারের বিরোধ প্রায় আজ থেকে ৭/৮ বছর পর্যন্ত। এরপূর্বে জনু মাস্টার উক্ত জমিতে ঘর তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু তখন নাদেরুজ্জামান মাস্টার এর বাধার কারনে ঘর তুলতে পারে নাই। গত মঙ্গলবার বিরোধপূর্ণ জমিতে জনু মাস্টার আবার ঘর তুলতে যায়। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান দুপক্ষকে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার চেম্বারে বসার জন্য বলেন। দু’পক্ষ গত শুক্রবার চেয়ারম্যানের চেম্বারে সবলে চেয়ারম্যান প্রথমেই নাদেরুজ্জামান মাস্টারের সাথে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে। নাদেরুজ্জামান মাস্টার চেয়ারম্যানকে বলেন আমার জমির দলিল আছে এবং আদালতের রায় আছে। আপনি কাগজপত্র দেখেন আদালতের রায় এবং সঠিক বিচার করেন। এরপর চেয়ারম্যান বলেন আগে আপনি ষ্টাম্পে স্বাক্ষর দেন তারপর বিচার হবে। নাদেরুজ্জামান মাস্টার ষ্টাম্পে স্বাক্ষর দিতে রাজি না হলে চেয়ারম্যার ক্ষিপ্ত হয়ে নাদেরুজ্জামান মাস্টারকে সকলের সামনে অপমান অপদস্ত করে। নাদেরুজ্জামান মাস্টার ষ্টাম্পে স্বাক্ষর না করে চেয়ারম্যানের চেম্বার থেকে চলে আসে। তখন চেয়ারম্যার জনু মাস্টারকে বলেন আপনি কালকে ঘর তুলবেন। আমি পুলিশ প্রশাসন সব দেখব। চেয়ারম্যানের কথামত দীর্ঘ ৬/৭ বছর পর জনু মাস্টার রিরোধী সম্পত্তিতে ঘর তোলা শুরু করে। এ ব্যাপারে নাদেরুজ্জামান মাস্টার লালমোহন থানায় সাধারন ডায়েরী করলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঙ্গলসিকদার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নাসির উদ্দিনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন। এসআই নাসির উদ্দিন ব্যবস্থা নিতে গেলে চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী এসআই নাসির উদ্দিনকে আপদস্ত করেন এবং বলেন চেয়ারম্যান বলেছে ঘর তোলার কাজ চালিয়ে যেতে। এসআই নাসির উদ্দিন নাদেরুজ্জামান মাস্টারের ছেলেকে এ ব্যাপারে তার করার কিছু নেই বলে জানান। বিষয়টি নাদেরুজ্জামান মাস্টার থানা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বলেন আপনি আদালতে মামলা করে ষ্ট্রে অর্ডার এনে কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন। আমাদের ওখানে আর করার কিছুই নেই। এ ব্যাপারে ধলীগৌর নগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুকে মোবাইলে জিজ্ঞাসা করলে তিনি খুবই দাম্ভিকতার সাথে বলেন ষ্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে সালিশীতে বসবে না। এখন বুঝুক ঠেলা কাকে বলে এই বলেই লাইন কেটে দেন। এ ব্যাপারে জনু মাস্টারকে মোবাইলে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমার পরচা আছে এবং চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন ঘর তুলতে তাই আমি ঘর তুলছি।

LEAVE A REPLY