রোহিঙ্গা শিবিরে গুতেরেস ও কিম

0
301

ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে এসে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিজের চোখে দেখলেন, তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা নিজের কানে শুনলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে সোমবার সকালে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সকাল পৌনে নয়টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করেন আন্তোনিও গুতেরেস ও জিম ইয়ং কিম।

জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। বিমানবন্দর থেকে তারা যান কক্সবাজার সৈকতের কলাতলীতে সাইমন বিচ রিসোর্টে। সেখানে আন্তোনিও গুতেরেস ও জিম ইয়ং কিমকে রোহিঙ্গা সংকট এবং সমস্যা নিয়ে অবিহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সকাল ১০টার দিকে কলাতলী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে শরণার্থীশিবির পরিদর্শনে যান জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট। সেখানে তারা কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া—এই তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পাঁচটি কেন্দ্রে রোহিঙ্গা দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), ব্র্যাক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, নারী ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। এ ছাড়া লম্বাশিয়া ও মধুরছড়ায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাবসতি ঘুরে দেখবেন।

রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘোরার ফাঁকেই জাতিসংঘ মহাসচিব এক টুইটে বললেন তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি লিখেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হত্যা আর ধর্ষণের যে বিবরণ তিনি শুনেছেন তা অকল্পনীয়। তারা বিচার চায়, নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে চায়।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, সফরের এই কর্মসূচিগুলোর পর বেলা আড়াইটার সময় কুতুপালংয়ের ডি-ফাইভ সেন্টারে প্রেস বিফ্রিং করবেন তারা।

রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ অবস্থা দেখতে ও বুঝতে এবং বাংলাদেশের প্রতি সমবেদনা জানাতে আন্তোনিও গুতেরেস ও জিম ইয়ং কিম গত শনিবার ঢাকায় আসেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।

বর্তমানে কক্সবাজারে উখিয়া ও টেকনাফে ৩০টি আশ্রয়শিবির রয়েছে। এই আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৮। এর মধ্যে উখিয়ার ১২টি আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা আছে সাত লাখ। এর মধ্যে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে আছে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা। গত জুনের মাঝামাঝিতে সাত দিনের ভারী বর্ষণ, পাহাড়ধস ও বন্যায় দুজনের মৃত্যু হয়, আহত হয় ৩১ জন। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় সাত হাজার রোহিঙ্গা।

LEAVE A REPLY