আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোলার রাজাপুরের কৃষক দুলাল বেপারি পালন করেছেন “লাল চাঁন”, “মানিক চাঁন” ও “বাতাসি” নামের তিনটি ষাঁড়। তিনি এ তিনটি ষাঁড়ের দাম চাইছেন ১৪ লাখ টাকা!
বিশালাকার এই ষাঁড় তিনটি দেখতে রাজাপুর ইউনিয়নে রোদ্রের হাট বাজার সংলগ্ন চর-মনোষা ৬নং ওয়ার্ডে দুলাল বেপারির বাড়ি ভীড় জমাচ্ছে স্থানীয়রা।
দুলাল বেপারির জানান, “লাল চাঁন” এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। ব্যাপারীরা সাড়ে ৩ লাখ পর্যন্ত দাম উঠিয়েছেন। “মানিক চাঁন” দাম সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও “বাতাসির” দাম সাড়ে ৪ লাখ টাকা। মোট ১৪ লাখ টাকা দাম দেওয়া হয় ষাঁড় তিনটির।
তিনি দাবি করেন, চলতি বছর কোরবানিতে এর চেয়ে বড় দেশি গরু ভোলায় পাওয়া যাবে না। দুলাল বেপারি আরও জানান, দিঘ্যদিন ধরে তিনি গরু পালন করেন। তার বাড়ির সামনে ছোট পরিসরে খামার করে তিনি গাভী পালন করে আসছেন। গত বছর কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে রাজশাহী থেকে লালচাঁন, মানিক চাঁন ও বাতাসি নামের গরুটিকে কিনে আনেন। এরপর সুষম খাদ্য, উপযুক্ত চিকিৎসা ও নিয়মিত পরিচর্যা শুরু করেন। গরু তিনটি দিনে দু’বার করে দেশিয় কাঁচা গাস,খইর, ভূসি খাদ্য খাওয়ানো হয়।
“লালচাঁন, মানিকচাঁন ও বাতাসি নামের গরু তিনটি সিন্ধী জাতের। বর্তমানে তাদের ওজন ১ হাজার ৮০০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৬৫ মণ। আর সম্রাটের ওজন ২ হাজার কেজি অর্থাৎ ৪৫ মণ বলে জানান এই খামারি।
দুলাল বেপারি আরো জানান, করোনা ভাইরাস এর কারনে লালচাঁন, মানিকচাঁন ও বাতাসিকে তেমন একটা হাটে নেওয়া সম্ভব হবে না। যদি কারো পছন্দ হয় তবে তাদের তবে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৮৪৯৬৮৬৯৪ ও ০১৯৭৬১৫০০৮৮ এই নাম্বারে।