ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও ভোলা জেলার কৃতি সন্তান রাজীব মীর গুরুতর অসুস্থ। তিনি ভারতের চেন্নাইয়ের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাকে সুস্থ করে তুলতে প্রায় ৯০ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। ডোনার থাকা সত্বেও টাকার অভাবে অপারেশন করানো যাচ্ছে না।
রাজীব মীর শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই ছিলেন না। তিনি একাধারে একজন বিশিষ্ট লেখক ও বিভিন্ন টিভি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন। তার স্ত্রী, ভাই-বোন ও দুই বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে রয়েছে। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও প্রতিভাবান এই মানুষটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান করা হচ্ছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে।
রাজীব মীরের চিকিৎসার দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বলেছেন, তার শরীরে লিভার সিরোসিস নামের রোগ বাসা বেঁধেছে। দুই মাসের মধ্যে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা না হলে তাকে বাচানো সম্ভব নয়। রাজীব মীরের অস্ত্রোপচার ও পরবর্তী তিন মাসের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা লাগবে।
রাজিব মীরের ছাত্র ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সপ্তম ব্যাচে শিক্ষার্থী বিজু রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় দেড় মাস যাবত রাজীব মীর স্যারের চিকিৎসা বাবদ ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন স্যারের শুধু অপারেশন করতে ৬০ লাখ টাকা দরকার। আর অপরেশনের পর চিকিৎসার বাবদ আরও ৩০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
বিজু রায় বলেন, স্যারের লিভার ডোনার পাওয়া গেছে। তারই সহোদর বোন নিপার সাথে স্যারের সাথে সবকিছু মিলে গেছে। তিনিই স্যারের ডোনার হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন। এখন যেকোনো সময় অপারেশন করানো যেতে পারে। কিন্তু টাকার অভাবে স্যারকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, শুধু অপারেশন করার জন্য যে ৬০ লাখ টাকা দরকার সেটাই এখন জোগার করতে পারেনি স্যারের পরিবার। সব মিলিয়ে ৪০ লাখ টাকার মতো জোগার হয়েছে। আরও প্রায় ৫০ লাখ টাকার প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, রাজীব মীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করেছে। এর বিরুদ্ধে রাজীব মীর হাইকোর্টে রিট করেছেন। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো সে নোটিশ দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য রাষ্ট্রপতির কাছেও চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছেন রাজীব মীর।