মুমিনুলের ফিরে আসা

0
302

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। ২০১৪ সালে ডন ব্র্যাডম্যানের পর সর্বোচ্চ টেস্ট গড়ের অধিকারী ছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। তখন মাত্র ২৩ ইনিংস খেলে তাঁর গড় দাঁড়িয়েছিল ৬৩.০৫। তবে এরপর তেমন উজ্জ্বলভাবে মাঠে দেখা যায়নি মুমিনুলকে। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১৮১ রান করেছিলেন, যেটি এখনো তাঁর সর্বোচ্চ রান। তবে দিনে দিনে নিজেকে আরো পরিণত করেছেন মুমিনুল। দলের প্রয়োজনে হয়ে উঠেছেন দুঃসময়ের কাণ্ডারি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে জ্বলে উঠতে না পারলেও দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। ক্লাসিক ব্যাটসম্যানের মতো অসাধারণ সব শট খেলে মুশফিকের সঙ্গে গড়েছেন দুর্দান্ত ২৬৬ রানের জুটি।

যখন মুমিনুল হক ক্রিজে আসেন, তখন বাংলাদেশ দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা ইমরুল কায়েস ফিরে গেছেন ব্যক্তিগত শূন্য রানে। অন্যদিকে মাত্র তিন রান যোগ করেই আরেক ব্যাটসম্যান লিটন দাস ফিরে যান। এরপরে অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুনও শূন্য রানে আউট হলে ২৬ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমন বিপর্যয়ের পর তখন মুশফিককে নিয়ে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন মুমিনুল। নিজে তো শতক পেয়েছেনই, পরে পেয়েছেন আরেকটি অর্ধশতক। অপর প্রান্তে থাকা সঙ্গী দিনশেষে ১১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৬৮ রান করেছিলেন মুমিনুল। এরপরই ক্যারিয়ারে ব্যাড প্যাচ শুরু হয় তাঁর। এরপর ২০১৭ সাল পর্যন্ত রান পাননি মুমিনুল। এমনকি টেস্ট দলেও অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি অর্ধশতক পেয়েছিলেন মাত্র চারটি।

তবে সেই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠেছেন মুমিনুল। এই বছরে তাঁর উত্থান আবারও স্বস্তি এনে দিয়েছে বাংলাদেশ দলে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বছরের শুরুতেই ঘরের মাটিতে প্রথম টেস্টে পরপর দুই ইনিংসে দুটি শতক পেয়েছিলেন মুমিনুল। খেলেছিলেন ১৭৬ এবং ১০৫ রানের দুর্দান্ত দুটি ইনিংস। এরপর কিছুদিন জাতীয় দলের হয়ে রানখড়ায় থাকলেও ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে আবারও রানে ফিরেছেন তিনি। সিলেটে প্রথম টেস্টে অবশ্য বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে প্রমাণ করেছেন মুমিনুল। খেলেছেন ২৪৭ বলে ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। কাইল জার্ভিসের বলে কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকের সঙ্গে ২৬৬ রানের জুটি দলকে শক্ত ভিত্তি এনে দিয়েছে।

খারাপ সময় কাটিয়ে আবারও নিজেকে ফুটিয়ে তুলছেন মুমিনুল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা তো বটেই, এমন মুমিনুলকে আরো অনেকদিন দেখতে চাইবেন তিনি নিজেও।

LEAVE A REPLY