মাদারীপুরে সাংবাদিক দম্পতিকে ব্ল্যাকমেইল গ্রেফতার ২

0
2

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে সাংবাদিক দম্পতিকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে দু’জন প্রতারক সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছে। এরা মুলত সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ভদ্র ও সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা আদায় করে আসছিলো। অবশেষে আসল সাংবাদিকের মালায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদারীপুরের সাংবাদিক দম্পতির বাড়িতে আশ্রয় নেন সাইফুল ইসলাম ও রিয়াজুল ইসলাম ওরফে আব্দুস ছালাম নামে দুই যুবক। পরে তারা নারী সাংবাদিকের ছবি সংগ্রহ করে নিচের অংশে নগ্ন চিত্র যুক্ত করে ছড়িয়ে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালে। এরপর পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে মাদারীপুর প্রেস ক্লাব নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে মিথ্যা অপপ্রচার চালান। পরে ওই নারী সাংবাদিক বাদী হয়ে এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে মাদারীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ শনিবার রাতে ঢাকার সাভার ও গুলশান থেকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম খান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক দম্পতির সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে সুকৌশলে তারা হঠাৎ বাসায় আসেন। মেহমান হিসেবে আপ্যায়নের পর তাদের বাসায় থাকতে দেওয়া হয়। বাসায় অবস্থানকালে তাদের অনুমতি ছাড়াই রাতে ব্যক্তিগত মোবাইল ও ল্যাপটপে থাকা ব্যক্তিগত কিছু ছবি, তথ্য ও উপাত্তসহ ফেসবুক ও মেইলের পাসওয়ার্ড নিয়ে যায়। কিছুদিন পরে সাংবাদিক দম্পতির ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে টাকা না পেয়ে হোয়াটস অ্যাপে এডিট করা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাঠায়। মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, প্রতারক চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম খানের (৩৬) বাবার নাম সিরাজ খান। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন যোদ্ধা করিসিং গ্রামে এবং তার প্রধান সহযোগী রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে ইসলাম চৌধুরী (৩৮) পরিচয় দেওয়া প্রতারকের প্রকৃত নাম আব্দুস সালাম। তার বাবার নাম ওয়াজেদ আলী, গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি সদরের কলেজ রোডে। তাদের প্রতারনা ও ব্ল্যাক মেইলিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিশোধ না করলে নগ্ন দৃশ্যাবলী অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ ও ভীতি সৃষ্টির লক্ষ্যে কিছু নগ্ন ছবি ওই সাংবাদিক দম্পতির পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশী ঘনিষ্ঠজনদের কাছে পাঠিয়েও দেয়। সোমবার বিকালে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY