মো: আফজাল হোসেন :: ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরি সংকটের কারনে দুই পাড়ে দীর্য লাইনের সৃস্টি হয়েছে। চরম ভোগান্তির স্বিকার রুট ব্যবহারকারী যানবাহন চালকসহ বাস যাত্রীরা। ঈদের আগে সমাধান না হলে চরম ভোগান্তি হবে দক্ষিনাঞ্চলের ২১জেলার রুট ব্যবহারকারীদের। তবে ফেরি কতৃপক্ষ বলছে দ্রুত সমাধান হবে।
সপ্তাহ ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে দুটি ফেরি। এর ফলে উভয় পাড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন। রুটের ভোলার অংশ ইলিশা ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজটের কারনে বিপাকে পড়েছে কাঁচামালের ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে তরমুজ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ট্রাক-শ্রমিক ও চালকদের অভিযোগ, ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এই রুটে চলাচল করছে ৬টি ফেরি। যার মধ্যে ২টি ফেরি বিকল রয়েছে। বাকী যা আছে তা দিয়ে চলাচল করে যানবাহন পারাপর সঠিক ভাবে করতে পারছে না। তরমুজ নিয়ে সিলেটগামী কাভারভ্যান চালক মো. ইদ্রীস এবং মো: সহীদসহ একাধিক চালক বলেন,গত ২দিন ধরে পারাপার এর অপেক্ষা করছি। কখন পার হবে পারবো তা নিশ্চিত না। রুট ব্যবহারে দ্রুত এবং টাকা কম খরচ বলেই আমরাএই রুট ব্যবহার করছি। এমন হয়রানী হলে সমস্যায় পরতে হবে।
জেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্র মতে চলতি বছর জেলায় সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৭হাজার হেক্টর বেশি। কবে অতিবৃস্টি কৃষকের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। এসব জমিতে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিকটন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৮০ ভাগ চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। এ কারণে তরমুজবাহী গাড়ির চাপ বেশি।
এ বিষয়ে ফেরির ইনচার্জ মো. পারভেজ খান বলেন, কুসুম কলি ও কলমি লতা নামে দুটি ফেরি বিকল। ফেরিগুলো দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে। আশা করি, ২/১ দিনের মধ্যে তা সচল হবে।